বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা দেব মুখার্জি মারা গেছেন। শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর প্রকাশ করেছে।
দেব মুখার্জির মুখপাত্র জুম টিভিকে বলেন, “গত কয়েক মাস ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন দেব মুখার্জি। বার্ধক্যজনিত কারণে আজ সকালে মারা যান তিনি।”
আজ বিকাল ৪টায় মুম্বাইয়ের জুহুর পবন হংস শ্মশানে অনুষ্ঠিত হবে দেব মুখার্জির শেষকৃত্য।
আরো পড়ুন:
‘মাধুরী দীক্ষিত দ্বিতীয় শ্রেণির তারকা’
গৌরির সঙ্গে প্রেম, স্বীকার করলেন আমির
ব্যক্তিগত জীবনে দেব মুখার্জি দুটো বিয়ে করেন। প্রথম সংসারে জন্ম নেয় কন্যা সুনীতা। পরিচালক আশুতোষ গোয়ারিকরের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন তিনি। দ্বিতীয় সংসারে জন্ম নেয় পুত্র অয়ন মুখার্জি। বলিউডের জনপ্রিয় পরিচালক তিনি। ‘ব্রহ্মাস্ত্র’, ‘ওয়ার টু’ সিনেমার নির্মাতা অয়ন মুখার্জি। বলিউড অভিনেত্রী কাজল দেব মুখার্জির ভাতিজি।
১৯৪১ সালের ২২ নভেম্বর উত্তরপ্রদেশের কানপুরে জন্মগ্রহণ করেন দেব মুখার্জি। ১৯৬৫ সালে ‘তু হি মেরি জিন্দিগি’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন তিনি। এরপর বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো— ‘অধিকার’, ‘জিন্দিগি জিন্দিগি’, ‘অভিনেত্রী’, ‘কারাতে’ প্রমুখ।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কম দায়ী নয়: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বনভূমি উজাড় ও গাছপালা কমে যাওয়ার জন্য বন বিভাগের দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি শহরের জিমনেশিয়াম মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে যদি বলা হয় যে আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই, তাহলে খুব বেশি ভুল হবে না। ৮০ সাল পর্যন্ত এখানে বন ছিল, গাছপালা ছিল, ঝোপঝাড় ছিল। এই অঞ্চলে বা দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কোনো অংশ কম দায়ী নয়।
সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চেয়ে বড় আকারের বনভূমি এখন মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী কিংবা সিলেটে দেখা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে এই অবস্থা কেন সৃষ্টি হলো সবার ভাবতে হবে।
পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণত ভাদ্র মাসের প্রথম দিকে শীতের অনুভূতি পাওয়া যেত। এখন কার্তিক মাসেও শীতের অনুভূতি পাওয়া যায় না। যারা আদিকাল থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছে, তারা প্রকৃতি সচেতন ছিল। তাই তাদের ওপর খুব বেশি ভূমি ধস হয়েছে শোনা যায় না। তাদের বাড়িঘরেও হয়নি। প্রকৃতিকে যারা চেনে না, তাদের ওপর ভূমিধস হয়।
বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব এ কে এম আকমল হোসেন আজাদ, রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. আবদুল আওয়াল সরকার, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন নূয়েন খীসা, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এসম সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। এর আগে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়। ৮ আগস্ট পর্যন্ত এই মেলা চলবে। বৃক্ষমেলায় ২১টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে।