যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের ১৯টি সংস্থা থেকে বরখাস্ত করা হাজার হাজার শিক্ষানবিশ কর্মীকে চাকরিতে পুনর্বহাল করার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ক্যালিফোর্নিয়া ও মেরিল্যান্ডের ফেডারেল বিচারকেরা এ নির্দেশ দেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর সরকারি চাকরি থেকে গণহারে কর্মী ছাঁটাই করার যে পদক্ষেপ নেন, তারই অংশ হিসেবে এই শিক্ষানবিশ কর্মীরা চাকরি হারান।

কেন্দ্রীয় সরকারের আকার তথা খরচ ও জনবল কমিয়ে আনতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ধনকুবের ইলন মাস্ক এক বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। পৃথক আদালতের দেওয়া এ আদেশকে তাঁদের কর্মসূচি কার্যকর করার ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত আসা সবচেয়ে বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সরকারি সংস্থাগুলোকে দ্বিতীয় দফায় কর্মীদের বরখাস্ত ও বাজেট কাঁটছাট করার জন্য এদিন অর্থাৎ গতকাল পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। আর গতকালই দুই অঙ্গরাজ্যের আদালত ওই আদেশ দিলেন।

সরকারি সংস্থাগুলোকে দ্বিতীয় দফায় কর্মীদের বরখাস্ত ও বাজেট কাঁটছাট করার জন্য এদিন অর্থাৎ গতকাল পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। আর গতকালই দুই অঙ্গরাজ্যের আদালত ওই আদেশ দিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বরখ স ত গতক ল সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ