ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণ চেষ্টা, ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 14th, March 2025 GMT
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় বুধই শেখ নামে ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধকে প্রধান আসামি করে চার জনের নামে মামলা হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালমারী থানার ওসি মো. মাহমুদুল হাসান। এর আগে বুধবার (১২ মার্চ) দিবাগত রাতে শিশুটির বাবা বাদি হয়ে বোয়ালমারী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের একটি গ্রামে গত মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী বাড়ির পশ্চিম পাশে মাঠে খেলতে যায়। সেখান থেকে একই ইউনিয়নের মুজুরদিয়া গ্রামের বুধই শেখ (৬১) শিশুটিকে সুকৌশলে ঘাসের জমিতে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। এসময় শিশুর ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে বুধই শেখ পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিয়ে ওইদিন রাতে শিশুটির বাবাসহ অভিভাবকরা বুধইয়ের কাছে শুনতে গেলে তাদেরকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে শিশুটির বাবা বাদি হয়ে বুধবার দিবাগত রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯ (৪) (খ) তৎসহ ৩২৩/৫০৬ (২) পেনাল কোড ১৮৬০ ধারায় বোয়ালমারী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর- ১১।
মামলায় বুধই শেখকে প্রধান আসামি করে চার জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলো- বুধই শেখের ভাই ছলেমান শেখ (৫৫), একই গ্রামের হবি শেখ (৫০) এবং বদিয়ার শেখ (৪৮)।
এর আগেও বুধই শেখের বিরুদ্ধে এ ধরনের কাজে জড়িত থাকার এলাকায় বদনাম রয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। বুধই শেখ একজন খারাপ প্রকৃতির লোক বলে এলাকায় বদনাম রয়েছে। মামলার পর থেকে বুধই শেখ পলাতক রয়েছে।
বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো.
ঢাকা/তামিম/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’