ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) দুই সদস্যকে সাত কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। এছাড়া এক মাদক কারবারিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোববার রাতে রাজধানীর কাকরাইল থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- ডিবির কনস্টেবল কামাল উদ্দীন (৪১) ও শাহিন আলম (২৯) এবং মাদক কারবারি শান্ত হোসেন (২৪)।

তাদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন ডিএনসির মেট্রো উত্তরের পরিদর্শক (তেজগাঁও) তারেক মাহমুদ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মগবাজার চৌরাস্তা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ থেকে সাত কেজি গাজা উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ২ লাখ ১০ হাজার টাকা। এছাড়া তাদের বহনকারী মোটরসাইকেলটিও জব্দ করা হয়েছে।  

অভিযানের বিষয়ে ডিএনসি মেট্রো উত্তরের উপপরিচালক শামীম আহম্মেদ সমকালকে বলেন, ওইদিন তিনজনকে মাদকসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন বলে শুনেছি। তবে বিষয়টি এখনও তদন্ত চলছে।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, বিষয়টি তদন্ত চলছে। জড়িতদের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

কর্মক্ষেত্রে বুলিং: শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব

কর্মক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির প্রতি অন্য সহকর্মী দ্বারা ইচ্ছাকৃতভাবে ও নিয়মিতভাবে খারাপ আচরণ করাকে কর্মক্ষেত্রে বুলিং অথবা উৎপীড়ন বলে। এটি কর্মক্ষেত্রের পরিবেশকে বিষাক্ত করে তোলে, কর্মীর কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়; কর্মীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে।

প্রকারভেদ

কর্মক্ষেত্রে বুলিং বিভিন্ন রকম হয়—

মৌখিক বুলিং: গালিগালাজ, অপমানজনক মন্তব্য, সবার সামনে ছোট করা, বিদ্রূপ করা।

শারীরিক বুলিং: মারামারি, ধাক্কা দেওয়া অথবা শারীরিকভাবে আঘাত করা।

সাইবার বুলিং: অনলাইনে বা সামাজিক মাধ্যমে অপমানজনক বার্তা পাঠানো, মোবাইলে ফোন করে খারাপ ব্যবহার করা।

কেন করা হয়?

এই উৎপীড়নের পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে—

কর্মক্ষেত্রে ক্ষমতা জাহির করা।

সহকর্মীর প্রতি ঈর্ষা।

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সামনে নিজেকে জাহির করার ইচ্ছা।

কর্মীর পারিবারিক অথবা মানসিক সমস্যা; যা কর্মক্ষেত্রে প্রতিফলিত হয়।

কর্মীর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব

বুলিং কর্মীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। এর কারণে অনেক সময় আক্রান্ত ব্যক্তি চাকরি ছেড়ে দেওয়া, অনেক সময় আত্মহত্যাও করতে পারেন।

মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব

ডিপ্রেশন বা হতাশা

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা

ইনসমনিয়া বা ঘুম কম হওয়া

আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া

আত্মহত্যার প্রবণতা

শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব

কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া

ওজন বেড়ে যাওয়া

হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া

মানসিক চাপ ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য রোগকে অনিয়ন্ত্রিত করে দেয়।

প্রতিরোধের উপায়

ঊর্ধ্বতন নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার কাছে পুরো বিষয়টি বুঝিয়ে বলা।

প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে মানসিক রোগবিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

ডা. নাজমুল হক মুন্না সহকারী অধ্যাপক (নিউরোলজি)

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কর্মক্ষেত্রে বুলিং: শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব