গৌতম কৈরির সিরিজ ‘আন্তঃনগর’ বদলে দিয়েছিল তাঁদের জীবনের গতিপথ। নিদ্রা নেহা, প্রান্তর দস্তিদার— দুজনেরই সেটি ছিল প্রথম কাজ। চরকির সিরিজটিতে পর্দায় জুটি হয়ে তাঁদের মধ্যে তৈরি হয় সত্যিকারের সম্পর্কের রসায়নও। ২০২৩ সালের জুনে ‘আন্তঃনগর’ প্রচারের কয়েক মাসের মধ্যেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন দুজন। এরপর বিজ্ঞাপনচিত্র করলেও নাটক বা সিরিজে দুজনকে একসঙ্গে দেখা যায়নি। প্রীতি দত্তের নাটক ‘অপেক্ষা’য় আবার পর্দায় দেখা যাবে তাঁদের। ২৬ মার্চ নাটকটি প্রচারিত হবে পূর্ণতা ই-টেইনমেন্ট ইউটিউব চ্যানেলে।
‘একসঙ্গে কাজ করার অনেক প্রস্তাব ছিল, প্রথম দিনে সেভাবে ব্যাটে-বলে মেলেনি। তবে সম্প্রতি প্রান্তরের সঙ্গে বেশ কয়েকটি কাজ হয়েছে, এর মধ্যে “অপেক্ষা”ই প্রথম আসছে।’—গতকাল দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন নিদ্রা।
প্রান্তর ও নেহা। শিল্পীর সৌজন্যে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।
এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।
বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা