অনেকে আশায় বুক বাঁধলেও ঘুরেফিরে সেই পুরোনো গল্পই দানা বেঁধে উঠল। যে গল্পের শিরোনামও সবার জানা—চোটের কারণে খেলতে পারছেন না নেইমার।
সম্প্রতি শিরোনামটি ফিরে এসেছে ব্রাজিল জাতীয় দলের সূত্রে। চলতি মাসেই বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচের জন্য নেইমারকে ফিরিয়ে স্কোয়াড ঘোষণা করেছিলেন ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র। এর মধ্য দিয়ে চোট কাটিয়ে ১৬ মাস পর আবারও ব্রাজিল দলে ফিরেছিলেন এই ফরোয়ার্ড। অপেক্ষা ছিল শুধু মাঠে নামার। কিন্তু গত ২ মার্চ ব্রাগান্তিনোর বিপক্ষে সান্তোসের ম্যাচে পায়ের পেশিতে পাওয়া চোট কাল হয়ে দাঁড়াল। এই চোট থেকে সেরে না ওঠায় নেইমারকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের স্কোয়াড থেকে বাদ দিতে বাধ্য হয়েছে ব্রাজিল।
আরও পড়ুনহামজার বাংলাদেশ–অভিষেক দেখতে সঙ্গে আসছেন পরিবারের সদস্যরা৩ ঘণ্টা আগেনেইমার নিজেও কতটা আশাহত হয়েছেন, সেটা বোঝা যায় তাঁর প্রতিক্রিয়ায়। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছিল, ফেরার খুব কাছাকাছি আছি। কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জার্সিটি আমি এই মুহূর্তে পরতে পারব না। আমাদের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে এবং সবাই জানে আমার ফেরার ইচ্ছা কতটা। কিন্তু আমরা ঝুঁকি না নিতে এবং সম্পূর্ণভাবে চোটমুক্ত (ফেরার বিষয়ে) বিষয়ে একমত হয়েছি।’
কিন্তু প্রশ্ন হলো, নেইমার কি কখনো সম্পূর্ণরূপে চোটমুক্ত হতে পারবেন?
পিএসজিতে থাকতে মেটাটারসেল চোটে পড়েন নেইমার.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’