২৪ ঘণ্টায় যুদ্ধ বন্ধ প্রসঙ্গে ট্রাম্প জানালেন ‘মজা করছিলাম’
Published: 15th, March 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছেন যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করার তার পূর্বের মন্তব্য অনেকটা মজা ছিল। তবে তিনি এখনো দাবি করছেন যে এই সংঘাত তিনি দ্রুত সমাধান করতে সক্ষম হবেন।
সম্প্রতি ‘ফুল মেজার’ নামে একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একটি ক্লিপ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ট্রাম্পকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হয়। খবর: এপি
জবাবে তিনি বলেন, “আমি যখন এটি বলেছিলাম তখন কিছুটা মজা করেছিলাম। তবে আমি সত্যিই যা বোঝাতে চেয়েছিলাম, তা হলো—আমি এই যুদ্ধ থামাতে চাই। এবং আমি বিশ্বাস করি, আমি এটি করতে পারব।”
এদিকে ট্রাম্প প্রায়ই অতিরঞ্জিত বিভিন্ন দাবি করে থাকেন। তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ২৪ ঘণ্টায় বন্ধ করা নিয়ে যে মজা করেছিলেন সেটি স্বীকার করেছেন। যা বিরল ঘটনাই বলা যায়।
ট্রাম্প প্রথম ২০২৩ সালের মে মাসে সিএনএনের টাউন হলে দাবি করেছিলেন যে তিনি ক্ষমতায় এলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, “রুশ-ইউক্রেনীয়রা মারা যাচ্ছে। আমি চাই তারা আর না মরে। আমি এটি করব ২৪ ঘণ্টার মধ্যে।”
এরপর গত বছরের সেপ্টেম্বরে এক প্রেসিডেন্ট বিতর্কেও তিনি একই মন্তব্য করেন এবং বলেন, “আমি প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত হলে দুই পক্ষের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের এক জায়গায় আনব।”
এদিকে গত সপ্তাহে রাশিয়ার মস্কোতে যান ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকোফ। মস্কোতে তিনি পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। যদিও এখনো তারা কোনো যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পারেনি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’