গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অলংকার জুয়েলার্স নামে একটি স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) দিবাগত রাতে গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের কলেজ রোডের হাজী মার্কেটে এ চুরি হয়।

স্থানীয়রা জানান, অলংকার জুয়েলার্সের পাশের সেতু লাইব্রেরির ভিতর দিয়ে ঢৃকে  জুয়েলার্স দোকানের দেয়াল কেটে প্রায় ৮০ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোরের দল। আজ শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে দোকান খুলে দেয়াল কাটা ও সিন্দুকে রাখা স্বর্ণালংকার দেখতে না পেয়ে দোকান মালিক কার্তিক চন্দ্র সরকার চিৎকার ও কান্নাকাটি শুরু করেন। স্থানীয় লোকজন তার দোকানে ছুটে যান। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।    ক্ষতিগ্রস্ত অলংকার জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী কার্তিক চন্দ্র সরকার জানান, তার  দোকানে থাকা প্রায় ৮০ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি হয়েছে। ড্রয়ারে নগদ দেড় লাখ টাকা ছিল, সেটাও নিয়ে গেছে। এক ভরি সোনার দাম প্রায় দেড় লাখ টাকা। এতে তার এক কোটি টাকার উপরে ক্ষতি হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এসেছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেতু লাইব্রেরির তিন কর্মচারিকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

চট্টগ্রামে হেলমেট চোরে অতিষ্ঠ বাইকাররা, গ্রেপ্তার ২

ঝালকাঠিতে ‘বোমা ফাটিয়ে’ ডাকাতির চেষ্টা, আহত ৩

চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার ও চোর গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।

ঢাকা/মাসুম/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স বর ণ ল ক র গ ব ন দগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ