নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কুতুবপুর ইউনিয়ন ইসলামী যুব আন্দোলনের ২০২৫-২৬ সেশনের পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বিকেল ৫টায় নয়ামাটি এলাকার একটি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন থানা যুব আন্দোলনের সহ-সভাপতি সোহেল ঢালী। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসার আগেই একটি গোষ্ঠী দুর্বৃত্তায়ন শুরু করেছে। সদ্য পতিত আওয়ামী লীগ থেকে তারা ন্যূনতম শিক্ষা নিতে পারেনি।

মাগুরায় ৮ বছরের শিশু আছিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে তিনি বলেন, দেশকে নিরাপদ করতে ইসলামপন্থার কোনো বিকল্প নেই।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী যুব আন্দোলন কুতুবপুর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি হুসাইন মুহাম্মাদ মুন্না এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক হাফেজ তানভীর আহমাদ।

কমিটিতে সভাপতি হিসেবে হাফেজ তানভীর, সহ-সভাপতি হিসেবে আতিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে হাফেজ ওমর ফারুক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মুহাম্মাদ রূহুল আমিনের নাম ঘোষণা করা হয়।

অনুষ্ঠানে থানা যুব আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হাসানসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অন ষ ঠ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ