ইসলামী যুব আন্দোলন কুতুবপুর ইউনিয়ন শাখার আংশিক কমিটি ঘোষণা
Published: 15th, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কুতুবপুর ইউনিয়ন ইসলামী যুব আন্দোলনের ২০২৫-২৬ সেশনের পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বিকেল ৫টায় নয়ামাটি এলাকার একটি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন থানা যুব আন্দোলনের সহ-সভাপতি সোহেল ঢালী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসার আগেই একটি গোষ্ঠী দুর্বৃত্তায়ন শুরু করেছে। সদ্য পতিত আওয়ামী লীগ থেকে তারা ন্যূনতম শিক্ষা নিতে পারেনি।
মাগুরায় ৮ বছরের শিশু আছিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে তিনি বলেন, দেশকে নিরাপদ করতে ইসলামপন্থার কোনো বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী যুব আন্দোলন কুতুবপুর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি হুসাইন মুহাম্মাদ মুন্না এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক হাফেজ তানভীর আহমাদ।
কমিটিতে সভাপতি হিসেবে হাফেজ তানভীর, সহ-সভাপতি হিসেবে আতিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে হাফেজ ওমর ফারুক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মুহাম্মাদ রূহুল আমিনের নাম ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানে থানা যুব আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হাসানসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অন ষ ঠ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল
সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”
ঢাকা/শরিফুল/রফিক