বাগেরহাটে বৃদ্ধের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণের অভিযোগ
Published: 15th, March 2025 GMT
বাগেরহাটের ফকিরহাটে ৬৩ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে সাড়ে তিন বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরের দিকে উপজেলার আট্টাকি গোডাউন মোড় এলাকায় ঘরে নিয়ে শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন আলকাস তালুকদার নামের ওই বৃদ্ধ।
শিশুটি বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত আলকাসকে আটক করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত আলকাস তালুকদার জেলার মোড়েলগঞ্জের চিংড়াখালী এলাকার মৃত আদিল তালুকদারের ছেলে। তিনি ফকিরহাটের আট্টাকী গোডাউন মোড় এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে থেকে ভিক্ষা করে।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্তের বাসার পাশেই অন্য ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার। শিশুটির বাবা একজন দিনমজুর। একই বাড়িতে ভাড়া থাকার সুবাদে শিশুটি অভিযুক্ত আলকাস তালুকদারকে নানা বলে ডাকতেন।
বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরের দিকে ওই শিশুকে ঘরে ডেকে নিয়ে আলকাস তালুকদার জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরে লোকজন বিষয়টি জানতে পারলে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে শনিবার সকালে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা.
ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক মীর বলেন, “শিশুটি বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শনিবার বাগেরহাট বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।”
ঢাকা/শহীদুল/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
৮% জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে কীভাবে ঐক্য হয়, প্রশ্ন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনসহ কোনো সংস্কার কমিশনে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন। তাদের প্রশ্ন, ঐকমত্য কমিশনে কোনো রাজনৈতিক দলকেও প্রশ্ন করতে দেখা গেল না যে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীর কোনো প্রতিনিধি না থাকলে বা তাদের বাদ দিয়ে কীভাবে ঐক্য গঠন হয়।
‘অভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ৮% জনগোষ্ঠীর অবস্থা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন তোলা হয়েছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের লিখিত বক্তব্যে। আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) তরুণ রায়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের আগে হোক বা পরে, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এখনো ৮ শতাংশ শুধু রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার জায়গা। তাদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট হতে দেখা যাচ্ছে না কোনো রাজনৈতিক দলকে। সে ক্ষেত্রে এমন অবস্থা চলমান থাকলে ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে ভবিষ্যতে নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্র বয়কটের সিদ্ধান্তও নিতে হতে পারে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা আক্রান্ত হতে থাকেন। তাৎক্ষণিকভাবে গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে সংখ্যালঘুরা জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন। সেই আন্দোলন থেকে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনসহ ৮ দফা দাবি তোলা হয়। সেসব দাবি বাস্তবায়নে তখন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। কিন্তু গত ১ বছরে ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের আশানুরূপ কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি।
সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেছে, বিগত ৫৩ বছরে কোনো সরকারই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। আগামী দিনের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় ৮ দফার বাস্তবায়ন করতে হবে। ৮ দফা যে দেশের ৮ শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রত্যেকের মনের কথা জানান দিতে ২২ আগস্ট ‘জাতীয় সংখ্যালঘু সম্মেলন-২০২৫’ আয়োজন করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক সুস্মিতা কর বলেন, সরকারের ঐকমত্য কমিশনে সংখ্যালঘু প্রতিনিধি নেই। দেশের একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে নিয়ে তো ঐকমত্য গঠন হতে পারে না। গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিজেদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট আছে। সংখ্যালঘুদের সব সংগঠন আট দফা দাবিতে একাত্ম। যদি নির্বাচন–পূর্ববর্তী সময়ে সরকার কিংবা রাজনৈতিক দলগুলো থেকে এসব দাবি বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করতে না দেখা যায়, তাহলে হয়তো সংখ্যালঘুরা ভোট বয়কট লড়তে পারে।
এই সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক সুব্রত বল্লভ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির আদিবাসী সংগঠক সুমন ত্রিপুরা।