নড়াইলের কালিয়ায় দু’পক্ষে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুই পুলিশসহ আটজন আহত হয়েছেন। শনিবার উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের সিলিমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত হাসিম মোল্যা (৩৮) হামিদপুর ইউনিয়নের সিলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা। আহতরা হলেন– কালিয়া থানার দুই পুলিশ সদস্য চন্দন সাহা ও সজল এবং সিলিমপুর গ্রামের কাদের মোল্যা ও তাঁর ছেলে জনি মোল্যা, বনি মোল্যা, আশিক, পনিসহ আটজন। এ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সিলিমপুর গ্রামের ঠান্ডু মোল্যা পক্ষের সঙ্গে একই গ্রামের জনি মোল্যা পক্ষের বিরোধ চলছিল। শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় গাজীরহাট বাজার থেকে জনির লোকজন ঠান্ডুকে বের করে দেয়। এরই জেরে শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠান্ডুর লোকজন জনির বাড়িতে গিয়ে তাঁর লোকজনের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন। এ হামলা ঠেকাতে গেলে কালিয়া থানা পুলিশের দুই সদস্যসহ আটজন আহত হন। এ ঘটনায় আহত হাসিম দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বাকিদের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এদিকে সকালে হামলার শিকার হয়ে জনি গ্রুপের লোকজন পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় যৌথ বাহিনী অভিযানে জনি গ্রুপের সিরাজ মোল্যা (৪৪) ও আজিজার শেখকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটার গান ও ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে কালিয়া থানার ওসি রাশিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি ওয়ান শুটার গান ও ২০ রাউন্ড গুলিসহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ঘর ষ ন হত র ল কজন এ ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।

আরো পড়ুন:

গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ

বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ

আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।

বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/সাজু/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ