মহাকাশ থেকে সুনিতাদের ফেরার পথ খুলল
Published: 15th, March 2025 GMT
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নভোচারীসহ একটি মিশন পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসা ও ধনকুবের ইলন মাস্কের মহাকাশ প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। গত শুক্রবার পাঠানো এই মিশন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ৯ মাসের বেশি সময় আটকে পড়া নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোরের পৃথিবীতে ফেরার পথ সুগম করল। সুনিতা ও বুচের পাশাপাশি নাসার মহাকাশচারী নিক হেগ এবং রাশিয়ান মহাকাশচারী আলেকজান্ডার গরবুনভও ড্রাগন ক্যাপসুলে করে ফিরতে পারেন।
ক্রু–১০ মিশনটিতে ফ্যালকন ৯ রকেটে ড্রাগন নামের মহাকাশযান পাঠানো হয়েছে। নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ওই রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এ মিশনে রয়েছেন চার নভোচারী। তাঁরা হলেন অ্যান ম্যাকক্লেইন, নিকোল আয়ার্স, জাপানের মহাকাশ সংস্থার নভোচারী তাকুয়া অনিশি ও রুশ নভোচারী কিরিল পেসকভ।
নাসার নভোচারী সুনিতা ও বুচার গত বছরের জুন মাস থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে রয়েছেন। তাঁরা মাত্র আট দিনের এক মহাকাশ মিশনে সেখানে যান; কিন্তু বোয়িংয়ের স্টারলাইনার মহাকাশযানে ত্রুটির কারণে তাঁরা মহাকাশ স্টেশনে আটকা পড়েন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁদের পৃথিবীতে ফেরার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায়।
নাসার তথ্য অনুযায়ী, ক্রু–১০ মিশন শুরুর পর আটকে পড়া দুই নভোচারী কয়েক দিনের মধ্যেই পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারেন।
কারিগরি ব্যর্থতার বিষয়টি পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক অভিযোগের দিকেও মোড় নেয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা ইলন মাস্ক অভিযোগ করেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইচ্ছাকৃতভাবে দুই নভোচারীকে পরিত্যাগ করেন। তঁদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি। এ বিষয়ে মাস্ক সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ না করলেও তাঁর অভিযোগ আলোড়ন তুলেছে।
ইউক্রেন সংঘাত সত্ত্বেও মহাকাশে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সহযোগিতার একটি ক্ষেত্র হিসেবে রয়ে গেছে, মহাকাশচারীরা স্পেসএক্স ক্রু ড্রাগনসের পাশাপাশি কাজাখস্তান থেকে উৎক্ষেপিত সয়ুজ ক্যাপসুলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যাতায়াত করেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের
ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।