তখন অনেক দূরে দিগন্ত পেরিয়ে কোনো এক গ্রামের ওপারে ঢলে পড়ছে সূর্য। দিনটা শেষ হতে চলেছে। পলাশ ফুলের রঙে তখন থালার মতো ঝুলে আছে সূর্যটা। খুব বেশি সময় নেই। চলে যেতে হবে অন্য কোথাও, অন্য কোনো দেশে। ওখানে অন্ধকার ঘোচানোর দায় ওই একই সূর্যের। বিদায়মুহূর্তের সেই রঙিন আলো ছড়িয়ে পড়েছে প্রান্তরের বুকে।

দেখতে দেখতে মৌলভীবাজারের কাউয়াদীঘি হাওরের পশ্চিম আকাশে সূর্য আরও লাল হয়ে উঠেছে। ‘ডানায় রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল’ বাড়ি ফিরছে। রাখালের দল মেঠো পথে ধুলা উড়িয়ে হাওর থেকে গরু নিয়ে ছুটছে নিজেদের গ্রামের দিকে। কেউ ফিরছেন গবাদিপশুর জন্য ঘাস নিয়ে। সাদা বকের ঝাঁক রাত কাটাতে হাওরপারের কোনো বাড়ির আশ্রয়ের দিকে উড়ে চলছে। আর নির্জনতায় ডুবে আছে সবুজ ধানের দেশ, হাওরের দিলখোলা সবুজ হৃদয়।

সন্ধ্যায় হাওরপারের একটি বাড়ির গাছে পাখিদের আশ্রয়.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মো. আরিফুল। শুক্রবার বেলা এগারোটার দিকে তিনি ভবন থেকে পড়ে যান বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিংতম বলেন, বেলা এগারোটার দিকে কয়েকজন ওই শ্রমিককে নিয়ে আসেন। অবস্থা গুরুতর দেখে তখনই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

নির্মাণাধীন ভবনটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মোমিনুল করিম শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ভবনটির নির্মাণকাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু শ্রমিক ওই ভবনে থাকেন। দুপুরের দিকে তিনি জানতে পারেন একজন শ্রমিক ভবন থেকে পড়ে গেছেন। তাঁকে এনাম মেডিকেলে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো। সন্ধ্যাবেলায় তাঁকে জানানো হয় ওই শ্রমিক মারা গেছেন।

তবে এনাম মেডিকেলের ডিউটি ম্যানেজার সুলতান প্রথম আলোকে বলেন, জাহাঙ্গীরনগর থেকে একজন রোগীকে আনা হয়েছিল। উনি ছাদ থেকে পড়ে গেছেন বলে জানানো হয়। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান।

শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আধা ঘণ্টা আগে খবর পেয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এমন একটি ঘটনা আমাদের আগে জানানো হয়নি কেন, তা জিজ্ঞাসা করেছি। বিষয়টি প্রো-ভিসি (এডমিন) দেখছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ