গুগলের সর্বশেষ অ্যান্ড্রয়েড ১৬ বেটা ৩ আপডেটে যুক্ত হয়েছে ব্লুটুথ প্রযুক্তির নতুন সংযোজন অরাকাস্ট। এই সুবিধার মাধ্যমে স্মার্টফোন থেকে সরাসরি শ্রবণযন্ত্রে (হিয়ারিং এইড) অডিও সম্প্রচার করা যাবে, যা জনাকীর্ণ পরিবেশ কিংবা পাবলিক স্পেসে স্পষ্টভাবে শব্দ শোনার অভিজ্ঞতা দেবে।

অরাকাস্ট মূলত ব্লুটুথ এলই অডিও প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি শ্রবণপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক হতে পারে। গুগল জানিয়েছে, ফোনের সেটিংসে থাকা নির্দিষ্ট শ্রবণযন্ত্র প্রিসেট ব্যবহার করে অডিও সম্প্রচারের মান উন্নত করা যাবে। ফলে ব্যবহারকারী তাঁর শ্রবণক্ষমতার সঙ্গে মানানসই শব্দ গ্রহণ করতে পারবেন। অরাকাস্টের মাধ্যমে একটি উৎস থেকে একাধিক যন্ত্রে একই সঙ্গে অডিও সম্প্রচার করা সম্ভব হবে। এটি স্টেডিয়াম, মিউজিয়াম, সম্মেলনকেন্দ্র কিংবা গণপরিবহনে শ্রবণ–সহায়ক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে। গুগলের পিক্সেল ৯ ব্যবহারকারীরা খুব সহজ উপায়ে অরাকাস্ট সম্প্রচারে যুক্ত হতে পারবেন। তাঁদের জন্য কিউআর কোড স্ক্যান করেই সরাসরি সম্প্রচারে সংযুক্ত হওয়ার সুবিধা রাখা হয়েছে। এতে প্রচলিত ব্লুটুথ সংযোগের চেয়ে সহজ ও দ্রুততর অভিজ্ঞতা মিলবে।

অরাকাস্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য ব্লুটুথ এলই অডিও–সমর্থিত শ্রবণযন্ত্র প্রয়োজন হবে। বর্তমানে জিএন হিয়ারিং ও স্টার্কির মতো কোম্পানির তৈরি ডিভাইস এই প্রযুক্তি সমর্থন করে। এ ছাড়া স্যামসাং গ্যালাক্সির ওয়ান ইউআই ৭ চালিত অ্যান্ড্রয়েড ১৫ ডিভাইস ও অ্যান্ড্রয়েড ১৬ বেটার গুগল পিক্সেল ৯ ফোনে এই প্রযুক্তি চালু করা যাবে। সমর্থিত টেলিভিশন স্ট্রিমিং ডিভাইস কিংবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানের সম্প্রচারেও অরাকাস্টের সুবিধা পাওয়া যাবে।

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট বিজিআর গত বছর ব্লুটুথ এসআইজি (ব্লুটুথ স্পেশাল ইন্টারেস্ট গ্রুপ)–এর বাজার উন্নয়ন বিভাগের সিনিয়র পরিচালক চাক সাবিন ও সিনিয়র ব্যবস্থাপক হেনরি ওংয়ের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকার নেয়। তাঁরা জানান, ২০২৫ সালের শুরুতেই বিশ্বজুড়ে অরাকাস্টের ব্যাপক ব্যবহার শুরু হতে পারে। তাঁদের মতে, অরাকাস্ট ব্যবহারের জন্য অন্তত ব্লুটুথ ৫ দশমিক ২ প্রযুক্তি প্রয়োজন। এ প্রযুক্তি দ্রুত সংযোগের পাশাপাশি অনেক ডিভাইসে অডিও শেয়ার করার সুযোগ দেবে।

সূত্র: বিজিআর ডটকম

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে

এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?

দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’

প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।

আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’

তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’

মুশফিকুর রহিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ