আমেরিকান অভিনেতা উইল স্মিথ একাধারে অভিনেতা, প্রযোজক ও র‍্যাপার  পার।  অভিনয়শৈলী দিয়েও বিশ্বজুড়ে সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি । একই সঙ্গে যে ভালো গানও গান, সেটাইবা কয়জন জানেন। আবার প্রতিভার জানান দিতে আসছেন ২৮ মার্চ। নিজের গানের দ্বিতীয় অ্যালবাম নিয়ে এদিন ফিরছেন উইল। ১৪ মার্চ তিনি ঘোষণা করেন, দুই দশক পর তাঁর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য অ্যালবাম ‘বেজড অন আ ট্রু স্টোরি’ প্রকাশিত হতে যাচ্ছে ২৮ মার্চ।

স্মিথের ১৪-ট্র্যাক অ্যালবামে সহযোগী হিসেবে আছেন ডিজে জ্যাজি জেফ। সেই সঙ্গে আছেন টেয়ানা টেলর ও জ্যাক রস। ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে অ্যালবাম প্রকাশের তারিখ ও কভার শেয়ার করে উইল স্মিথ লিখেছেন, ‘এটা অফিসিয়াল ঘোষণা! আমার নতুন অ্যালবাম বেজড অন আ ট্রু স্টোরি ২৮ মার্চ মুক্তি পাচ্ছে। আর মাত্র দুই সপ্তাহ! আমি এটা আপনাদের সবার কাছে পৌঁছে দিতে ভীষণভাবে আগ্রহী।’ জানুয়ারিতে তাঁর সর্বশেষ একক গান ‘বিউটিফুল স্কারস’ প্রকাশের সময় তিনি প্রথম ঘোষণা করেছিলেন, একটি নতুন অ্যালবাম প্রকাশ করবেন। অভিনয়ের পাশাপাশি গানকে ভালোবাসেন উইল। তাইতো গানের ভুবনে বারবার ফিরে আসেন। 

প্রসঙ্গত, উইল স্মিথ এর সর্বশেষ অ্যালবাম ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ প্রকাশ হয়েছিল ২০০৫ সালের মার্চ মাসে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অভ ন ত উইল স ম থ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ