স্পেসএক্স ক্যাপসুল আইএসএস-এ পৌঁছেছে, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ফিরছেন দুই নভোচারী
Published: 16th, March 2025 GMT
স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুল সফলভাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS) ডক করেছে, যা ৯ মাস ধরে সেখানে অবস্থানরত দুই নভোচারীকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনবে। নাসার নভোচারী বুচ উইলমোর এবং সুনি উইলিয়ামসকে মাত্র আট দিনের জন্য মহাকাশে পাঠানো হলেও, বোয়িং-এর স্টারলাইনার ক্যাপসুলের প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে তারা সেখানে নয় মাস কাটিয়েছেন।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর, তারা এবার স্পেসএক্সের ড্রাগন ক্যাপসুলের মাধ্যমে পৃথিবীতে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নাসার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উইলমোর ও উইলিয়ামস এই সপ্তাহেই পৃথিবীতে ফেরার কথা রয়েছে। তবে আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে ফ্লাইট সূচি চূড়ান্ত করা হবে। খবর: বিবিসির
বুচ এবং সুনি ২০২৪ সালের জুন মাসে বোয়িং-এর স্টারলাইনার মহাকাশযানে চড়ে আইএসএস-এ পৌঁছান। এটি একটি পরীক্ষামূলক মিশন ছিল, কিন্তু উৎক্ষেপণ ও ডকিংয়ের সময় বিভিন্ন কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়, যার মধ্যে স্টারলাইনারের থ্রাস্টার ও হিলিয়াম লিকের সমস্যা অন্যতম।
নাসা সিদ্ধান্ত নেয়, নভোচারীদের স্টারলাইনারে ফিরিয়ে আনার ঝুঁকি না নিয়ে স্পেসএক্সের ড্রাগন ক্যাপসুল ব্যবহার করাই নিরাপদ হবে। যদিও বোয়িং দাবি করেছে যে তাদের ক্যাপসুল নিরাপদ ছিল, তবুও নাসা ঝুঁকি নিতে রাজি হয়নি।
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও স্পেসএক্স সিইও এলন মাস্ক অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক কারণে বুচ এবং সুনিকে এতদিন মহাকাশে রাখা হয়েছে। তবে নাসার কর্মকর্তারা বলেছেন, সম্পূর্ণ কারিগরি কারণেই তাদের ফেরানোর সিদ্ধান্ত দেরি হয়েছে এবং নিরাপত্তাই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়েছে।
নাসার তথ্য অনুযায়ী, আইএসএস-এ নতুন ক্রুদের সঙ্গে দুদিনের হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে, এরপর উইলমোর এবং উইলিয়ামস পৃথিবীতে ফেরার যাত্রা শুরু করবেন। দীর্ঘ নয় মাস মহাকাশে থাকার পর তারা অবশেষে পৃথিবীতে ফিরে আসছেন, যা তাদের জন্য একটি বিশেষ মুহূর্ত হতে যাচ্ছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স প সএক স স প সএক স
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’