হবিগঞ্জে নাহিদুল ইসলাম (৮) নামে অপহৃত এক শিশুকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। এসময় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা
শিশুটির অপহরণকারী বলে হবিগঞ্জ সেনাবাহিনী ক্যাম্পের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বানিয়াচং সদরের মোহাম্মদ লাদেন, মোহাম্মদ শাহ আলম ও মোহাম্মদ শাহ নূর। অপহৃত শিশুটি হবিগঞ্জ শহরের নাতিরাবাদ এলাকার মোহাম্মদ লিটনের ছেলে।

শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে বানিয়াচং উপজেলার সদর থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। 

হবিগঞ্জ সেনাবাহিনী ক্যাম্পের মিডিয়া সেল জানায়, শনিবার দুপুরে শিশু নাহিদুল ইসলামকে অপহরণ করে কতিপয় দুর্বৃত্ত। তারা মুক্তিপণ বাবদ শিশুটির বাবার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। বিকেলে এ ঘটনায় তার মা-বাবা সেনাক্যাম্পে অভিযোগ করেন। পরে সেনাবাহিনী গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়ে শিশুটির অবস্থান নিশ্চিত হয়। রাত পৌনে ৯টায় সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এসময় অপহরণকারী ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ৩ অপহরণকারীকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রবিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা/মামুন/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদ

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা

দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্স টাউনে মুক্তিপণ না পেয়ে মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ইকবাল নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) কুইন্সটাউনের একটি জঙ্গল থেকে আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ পাওয়া যায়।

নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদরের আলীরটেক এলাকায়।

আরো পড়ুন:

বগুড়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ

স্বজনেরা জানান, গত ২ জুন অপহরণকারীরা নিহতের পরিবারের কাছে প্রথমে ৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে এক কোটি টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, আলমগীর হোসেন ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করে আসছিল। সেখানে তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইকবালের পরিবারে মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। তারা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করে আসছিলেন।

নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের ভগ্নীপতি শরিফুর রহমান ঢালী বলেন, ‘‘গত ২ জুন রাত ১০টার দিকে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি থেকে মালামাল আনলোড করার সময় ৪ জন অপহরণকারী ইকবালকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দুদিন পরে ইকবালের স্ত্রীর ফোন নাম্বারে কল করে সাউথ আফ্রিকান ৫০ লাখ (বাংলাদেশি টাকায় ৫ কোটি টাকা) দাবি করে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘একাধিকবার কথা বলার পরিবার এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অপহরণকারীরা সর্বশেষ এক কোটি টাকা দাবি করে। কিন্তু, পরিবার এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে। ১২ জুন একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগামী ১৫ জুন রাতে কাতার এয়ারওয়েজে নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ দেশে আসবে।’’

ঢাকা/অনিক/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ: চক্রের মূল হোতা গ্রেপ্তার
  • মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
  • সিদ্ধিরগঞ্জে প্রবাসী স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর তালা