বলিউডের সুপারস্টার ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন একাধিক কারণে বিশ্বজুড়ে পরিচিত। তার সৌন্দর্য ও অভিনয় দক্ষতার পাশাপাশি, তিনি তার তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও মজাদার মন্তব্যের জন্যও খ্যাত। 

সম্প্রতি, ঐশ্বরিয়া মার্কিন টিভি শো হোস্ট অপরাহ উইনফ্রের জনপ্রিয় চ্যাট শোতে উপস্থিত হয়ে ভারতীয় সংস্কৃতি এবং আমেরিকান সমাজ নিয়ে কিছু আকর্ষণীয় এবং মজার মন্তব্য করেছেন, যা দর্শকদের মধ্যে হাসির ঝড় তোলে।

২০০৫ সালে শোতে তার প্রথম উপস্থিতিতে, ঐশ্বরিয়া ভারতের সংস্কৃতি সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা খণ্ডন করেন। যখন অপরাহ ভারতীয় চুম্বন বা সাজানো বিবাহ নিয়ে প্রশ্ন করেন, তখন ঐশ্বরিয়া ব্যাখ্যা করেন, "ভারতীয় মানুষরা খুবই অতিথিপরায়ণ।" শোতে উপস্থিত দর্শকরা তার সজাগ এবং পোক্ত উত্তর শুনে মুগ্ধ হন।

তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় মুহূর্তটি আসে যখন অপরাহ তাকে আমেরিকান সমাজের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে প্রশ্ন করেন। সাথেসাথেই তিনি একটি কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্য করে বসেন যা দর্শকদের মধ্যে হাসির রোল সৃষ্টি করে।

কথোপকথনের এক পর্যায়ে, অপরাহ যখন প্রশ্ন করেন, "আপনি সংস্কৃতির প্রতিনিধি। ভারত সাধারণভাবে আমেরিকান মহিলাদের সম্পর্কে কী ভাবে?"

ঐশ্বরিয়া সোজাসুজি উত্তর দেন, “ভারতীয় মানুষরা খুবই অতিথিপরায়ণ।” এরপর অপরাহ আবার প্রশ্ন করেন, “তারা কি মনে করে আমরা অনেক কথা বলি?” ঐশ্বরিয়া জানান, “হয়তো।” 

আর শেষের প্রশ্ন ছিল, “তারা কি বলে যে আমাদের অনেক বিবাহবিচ্ছেদ হয়?” ঐশ্বরিয়া সোজা উত্তর দেন, “উহ.

.. এটা একটা আলোচনা হতে পারে...”

ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন তার বুদ্ধিমত্তা এবং হাস্যরসাত্মক মন্তব্যের মাধ্যমে আবারও প্রমাণ করলেন, কেন তিনি শুধু ভারতের নয়, পুরো বিশ্বের একজন জনপ্রিয় তারকা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অপর হ

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ