সেচ দিতে গিয়ে নিখোঁজ, ৬ দিন পর মিলল দেহ
Published: 16th, March 2025 GMT
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় জমিতে সেচ দিতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার ছয়দিন পর আলতাফ শাহ (৫২) নামের এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে মোহনপুরের তুলশিক্ষেত্র বিলের ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। আলতাফের বাড়ি মোহনপুর উপজেলার ধুরইল মণ্ডলপাড়া গ্রামে। ছয়দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন এই কৃষক।
পুলিশ জানিয়েছে, ৯ মার্চ রাতে সরকার পুকুর মাঠে নিজের জমি সেচ দিতে গিয়েছিলেন আলতাফ শাহ। আলতাফের জমির পাশেই তাঁর চাচাতো ভাই শরিফুল ইসলামেরও জমি। ওই রাতে তিনিও জমিতে সেচ দিতে গিয়েছিলেন। ওই রাতে আলতাফ বাড়ি ফেরেননি। পরদিন সকালে পরিবারের সদস্যরা জমিতে গিয়ে মানুষের মগজসাদৃশ্য মাংস দেখতে পান।
এছাড়া জমি থেকে কিছুটা দূরে রাস্তায় ফোটা ফোটা রক্তের দাগ দেখা যায়। পুলিশ গিয়ে সেদিন মগজসাদৃশ্য মাংস উদ্ধার করে। এটি মানুষের মগজ কি না তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সেদিন থেকেই শরিফুল ইসলাম পরিবারসহ লাপাত্তা। তার বাড়িটি তালাবদ্ধ রয়েছে। আগের রাতে স্থানীয় এক ব্যক্তি জমিতে শরিফুল ও আলতাফ শাহকে কথা কাটাকাটি করতে দেখেছিলেন।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, “রবিবার বেলা ১১টার দিকে বিলের ডোবায় বিবস্ত্র অবস্থায় একটি লাশ পড়ে থাকার খবর পান তারা। তারা গিয়ে মাথা থেঁতলানো একটি মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে নিখোঁজ কৃষক আলতাফের পরিবারের সদস্যরাও আসেন। তারা শনাক্ত করেন এটি আলতাফ হোসেনেরই লাশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়। আলতাফের জমি থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে লাশটি পড়ে ছিল।”
ওসি জানান, আলতাফ নিখোঁজের ঘটনায় তার চাচা মোস্তফা ও চাচাতো ভাই শরিফুল ইসলামসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আগেই হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে একটি মামলা করেছিল আলতাফের পরিবার। ওই মামলায় মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তিনি আলতাফের বিষয়ে কিছু জানাননি। তিনি এখন কারাগারে আছেন। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ঢাকা/কেয়া/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আলত ফ র ম হনপ র পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
মোবাইল চুরির সন্দেহে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৩
পাবনায় মোবাইল ফোন চুরি করার সন্দেহে রাসেল হোসেন (৩১) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তার মামাত ভাইদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
শনিবার (১৪ জুন) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার জাফরাবাদ এলাকায় তাকে হত্যা করা হয়। নিহত রাসেল হোসেন জাফরাবাদ এলাকার নজির উদ্দিনের ছেলে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
সুনামগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক নিহত
দৃষ্টিহীন বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার (১৪ জুন) রাতে রাসেলের মামাত ভাই জাফরাবাদ এলাকার মকবুল হোসেনের বাড়ি থেকে একটি মোবাইল ফোন সেট চুরি হয়। মোবাইল চুরির ঘটনায় রাসেলকে সন্দেহ করে একই এলাকার তানজিল হোসেন নামে এক যুবক রাসেলকে মোবাইল ফোন সেটটি ফেরত দিতে বলেন। এতে রাসেল চুরির কথা অস্বীকার করে ক্ষুব্ধ হয়ে তানজিলকে মারধর করেন। এরই জের ধরে তানজিলের স্বজন ও মকবুলের সহযোগীরা রাসেলদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে রাসেলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে রাসেলের মৃত্যু হয়।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে নিহত রাসেলের বোন অঞ্জনা খাতুন বলেন, ‘‘তাদের এলাকার সাইফুলের পরিত্যক্ত সেমাই কারখানার কলা গাছ থেকে কলা কাটাকে কেন্দ্র করে মামাত ভাই মকবুলদের সঙ্গে রাসেলের বিরোধের সৃষ্টি হয়। সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’’
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজন মহিলাসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলায় তাদের অভিযুক্ত করা হলে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হবে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে আটককৃতদের নাম-পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান ওসি।
ঢাকা/শাহীন/বকুল