রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় জমিতে সেচ দিতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার ছয়দিন পর আলতাফ শাহ (৫২) নামের এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে মোহনপুরের তুলশিক্ষেত্র বিলের ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। আলতাফের বাড়ি মোহনপুর উপজেলার ধুরইল মণ্ডলপাড়া গ্রামে। ছয়দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন এই কৃষক।

পুলিশ জানিয়েছে, ৯ মার্চ রাতে সরকার পুকুর মাঠে নিজের জমি সেচ দিতে গিয়েছিলেন আলতাফ শাহ। আলতাফের জমির পাশেই তাঁর চাচাতো ভাই শরিফুল ইসলামেরও জমি। ওই রাতে তিনিও জমিতে সেচ দিতে গিয়েছিলেন। ওই রাতে আলতাফ বাড়ি ফেরেননি। পরদিন সকালে পরিবারের সদস্যরা জমিতে গিয়ে মানুষের মগজসাদৃশ্য মাংস দেখতে পান।

এছাড়া জমি থেকে কিছুটা দূরে রাস্তায় ফোটা ফোটা রক্তের দাগ দেখা যায়। পুলিশ গিয়ে সেদিন মগজসাদৃশ্য মাংস উদ্ধার করে। এটি মানুষের মগজ কি না তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সেদিন থেকেই শরিফুল ইসলাম পরিবারসহ লাপাত্তা। তার বাড়িটি তালাবদ্ধ রয়েছে। আগের রাতে স্থানীয় এক ব্যক্তি জমিতে শরিফুল ও আলতাফ শাহকে কথা কাটাকাটি করতে দেখেছিলেন।

মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, “রবিবার বেলা ১১টার দিকে বিলের ডোবায় বিবস্ত্র অবস্থায় একটি লাশ পড়ে থাকার খবর পান তারা। তারা গিয়ে মাথা থেঁতলানো একটি মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে নিখোঁজ কৃষক আলতাফের পরিবারের সদস্যরাও আসেন। তারা শনাক্ত করেন এটি আলতাফ হোসেনেরই লাশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়। আলতাফের জমি থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে লাশটি পড়ে ছিল।”

ওসি জানান, আলতাফ নিখোঁজের ঘটনায় তার চাচা মোস্তফা ও চাচাতো ভাই শরিফুল ইসলামসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আগেই হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে একটি মামলা করেছিল আলতাফের পরিবার। ওই মামলায় মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তিনি আলতাফের বিষয়ে কিছু জানাননি। তিনি এখন কারাগারে আছেন। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ঢাকা/কেয়া/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আলত ফ র ম হনপ র পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার

যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।

জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে। 

এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ