রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় নিখোঁজের ছয়দিন পর আলতাফ শাহ (৫২) নামে এক কৃষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার উপজেলার তুলশিক্ষেত্র বিলের ডোবা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। আলতাফের বাড়ি উপজেলার ধুরইল মণ্ডলপাড়া গ্রামে।

পুলিশ জানিয়েছে, গত ৯ মার্চ রাতে সরকার পুকুর মাঠে নিজের জমি সেচ দিতে যান আলতাফ শাহ। পাশেই তাঁর চাচাতো ভাই শরিফুল ইসলামেরও জমি রয়েছে। তিনিও জমিতে সেচ দিতে গিয়েছিলেন। রাতে আলতাফ আর বাড়ি ফেরেননি। পরদিন সকালে পরিবারের সদস্যরা জমিতে গিয়ে মানুষের মগজসাদৃশ্য মাংস পান।

জমি থেকে কিছুটা দূরে রাস্তায় ফোটা ফোটা রক্তের দাগ পাওয়া যায়। পুলিশ গিয়ে সেদিন মগজসাদৃশ্য মাংস উদ্ধার করে। এটি মানুষের মগজ কিনা, তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেদিন থেকেই শরিফুল ইসলাম পরিবারসহ লাপাত্তা। তাঁর বাড়ি তালাবদ্ধ রয়েছে। আগের রাতে স্থানীয় এক ব্যক্তি জমিতে শরিফুল ও আলতাফকে কথা কাটাকাটি করতে দেখেছিলেন।

মোহনপুর থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, রোববার বেলা ১১টার দিকে বিলের ডোবায় বিবস্ত্র অবস্থায় একটি লাশ পড়ে থাকার খবর পান তারা। সেখান থেকে মাথা থেতলানো একটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা এসে আলতাফের বলে শনাক্ত করেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

আলতাফের জমি থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে লাশ পড়ে ছিল জানিয়ে ওসি বলেন, আলতাফ নিখোঁজের ঘটনায় তাঁর চাচা মোস্তফা ও চাচাতো ভাই শরিফুল ইসলামসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আগেই হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলা করেছিল আলতাফের পরিবার। এ মামলায় মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তিনি আলতাফের বিষয়ে কিছু জানাননি। তিনি কারাগারে আছেন। তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আলত ফ র পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

বিএলআরআই নিয়োগবিধিতে বৈষম্যের অভিযোগে গবিতে মানববন্ধন

বাংলাদেশ লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) নিয়োগবিধিতে সমন্বিত বিএসসি ডিগ্রি অন্তর্ভুক্ত না করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা।

আরো পড়ুন:

সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জাবি ও জবিতে মানববন্ধন

ইবিতে ছাত্রীর পোশাক নিয়ে শিক্ষকের কটূক্তি, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘অধিকারের নামে কেন এই বৈষম্য?’, ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারী ছাত্র-ছাত্রী চাই ন্যায্য সম্মান’, ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রি অপরাধ নয়’, ‘ভেটেরিনারি একটাই পরিবার, কম্বাইন্ড ডিগ্রিতে সমান অধিকার’, ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারী ছাত্র-ছাত্রী চাই ন্যায্য সম্মান’, ‘ভেটেরিনারি পরিবারে সমান অধিকার’, ‘সমন্বিত শিক্ষা দেশের সম্মান’, ‘আদিম পশু পালনে নয়, বরং সমন্বিত ভেটেরিনারি শিক্ষা দেশের সম্মান’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগবিধি সংশোধন না হলে আরো কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।

এ সময় গবি ছাত্র সংসদের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. হুমায়ুন কবির বলেন, “বাংলাদেশ লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউট কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারীদের নিয়োগে বৈষম্য করছে। এটি আমাদের প্রতি স্পষ্ট অবিচার। আমরা ইতোমধ্যে প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ম্যামসহ বিএলআরআই কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু তারা বারবার বিষয়টি উপেক্ষা করছে। আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই।”

আরেক শিক্ষার্থী মো. মাহিদুজ্জামান সিয়াম বলেন, “দেশের প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের বৃহত্তর স্বার্থে ২০১৬ সালে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর উদ্যোগে কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও এই কোর্স চালু করা হয়। আমরা পশু চিকিৎসা ও পশু পালন—উভয় বিষয়ে সমন্বিত জ্ঞান অর্জন করি। অথচ বিএলআরআই আমাদের কোনো গবেষণা বা চাকরির সুযোগ দিচ্ছে না। এটি বৈষম্যমূলক ও স্বৈরাচারী আচরণ।”

মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেন এবং সমস্যার দ্রুত সমাধানে প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ দাবি করেন।

ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ