আর্সেনাল ১ : ০ চেলসি

লিগ শিরোপার লড়াইয়ে লাগামটা এখন আর নিজেদের হাতে নেই। তবে লিভারপুলের সঙ্গে শিরোপার লড়াইটা টিকিয়ে রাখতে আর্সেনালের জন্য এখন প্রতিটি ম্যাচই ফাইনালের মতো।

তেমনই এক ম্যাচে আজ এমিরেটসে চেলসির মুখোমুখি হয়েছিল তারা। মিকেল মেরিনোর একমাত্র গোলে সেই ম্যাচ আর্সেনাল জিতেছে ১–০ গোলে। এই জয়ে লিভারপুলের সঙ্গে ব্যবধানটা আরেকটু কমিয়ে আনল তারা।

এই জয়ের পর আর্সেনালের পয়েন্ট এখন ২৯ ম্যাচে ৫৮। আর শীর্ষে থাকা লিভারপুলের পয়েন্ট সমান ম্যাচে ৭০। অর্থাৎ ৯টি করে ম্যাচ বাকি থাকতে লিভারপুল এখন এগিয়ে আছে ১২ পয়েন্টের ব্যবধানে। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের জয়রথ ধরে রাখার পাশাপাশি লিভারপুলের পয়েন্ট হারানোর অপেক্ষাতেও থাকতে হবে মিকেল আরতেতার দলকে।

আরও পড়ুনগোল খাওয়ার নতুন রেকর্ড গড়ল গার্দিওলার সিটি ২২ ঘণ্টা আগে

ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে আর্সেনাল। স্বাগতিকদের আক্রমণের চাপে তাল রাখতে বেশ হিমশিম খেতে হয়েছে চেলসিকে। কয়েকবার কাছাকাছি গিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর অবশেষে ম্যাচের ২০ মিনিটে আর্সেনাল পেয়ে যায় প্রথম গোল। কর্নার থেকে বল পেয়ে হেডে গোল করেন মিকেল মেরিনো।

ঘরের মাঠে দাপুটে ফুটবল খেলেছে আর্সেনাল.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর স ন ল

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ