ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে চলতি সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন টেলিফোনে কথা বলবেন বলে আশা করা হচ্ছে। রবিবার মার্কিন কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত সপ্তাহে রাশিয়া ও ইউক্রেনের কাছে ৩০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাঠিয়েছিল ওয়াশিংটন। ইউক্রেন প্রস্তাব মানলেও তাতে পাল্টা শর্ত আরোপ করেছেন পুতিন। এই পরিস্থিতিতে ওয়াশিংটন এবং কিয়েভের ইউরোপীয় মিত্ররা যুদ্ধবিরতি মেনে নেওয়ার জন্য মস্কোকে চাপ দিচ্ছে।
ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ সিএনএনকে একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি মনে করেন ‘চলতি সপ্তাহে দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে সত্যিই একটি ভালো এবং ইতিবাচক আলোচনা হবে।’
এর আগে মস্কো জানিয়েছিল, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও তার রাশিয়ান প্রতিপক্ষ সের্গেই ল্যাভরভকে ফোন করেছেন এবং গত মাসে সৌদি আরবে মার্কিন-রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে ‘মঝোতা বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট দিকগুলো’ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’