পাকিস্তানে সেনাবহরে আত্মঘাতী হামলা, নিহত ৫
Published: 16th, March 2025 GMT
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের কোয়েটা-তাফতান মহাসড়কে সশস্ত্র বাহিনী ফ্রন্টিয়ার কর্পসের বহরে আত্মঘাতী হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত এবং ৪০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিনজন সেনাসদস্য ও দু’জন বেসামরিক নাগরিক।
নিরাপত্তা সূত্র জানায়, রোববার নিষিদ্ধ ঘোষিত বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) এক আত্মঘাতী হামলাকারী বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে সেনাবহরে আঘাত করে। এ সময় প্রচণ্ড বিস্ফোরণে আশপাশ কেঁপে ওঠে। হামলার পর নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা অভিযানে আত্মঘাতীসহ চার সন্ত্রাসীকে হত্যা করে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফসহ শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তারা এ হামলার নিন্দা জানিয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নিজেদের কঠোর অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। নিরাপত্তা বাহিনী তদন্ত শুরু করেছে এবং গোটা অঞ্চলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। খবর রয়টার্স।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন হত
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’