Samakal:
2025-05-01@05:38:56 GMT

ম্যাকবুক সরিয়ে নিল অ্যাপল

Published: 16th, March 2025 GMT

ম্যাকবুক সরিয়ে নিল অ্যাপল

কিছুদিন আগে এম ফোর চিপযুক্ত ম্যাকবুক এয়ার ল্যাপটপের নতুন সংস্করণ ঘোষণা করেছে অ্যাপল। নতুন ম্যাকবুক এয়ার ১৩ ইঞ্চি ও ১৫ ইঞ্চি পর্দাবিশিষ্ট। নতুন ল্যাপটপ আসামাত্রই পুরোনো দুটি মডেলের ম্যাকবুক এয়ার মডেলের বিপণন বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানাল অ্যাপল কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে নিজেদের দাপ্তরিক ওয়েবসাইট থেকে দুটি ল্যাপটপ সরিয়ে নিয়েছে অ্যাপল। মডেল দুটি হলো ম্যাকবুক এয়ার এম টু ও এম থ্রি মডেল।
যদিও সারাবিশ্বের কয়েকটি 
ই-কমার্স সাইট ও অফলাইন খুচরা বিক্রেতার মাধ্যমে ম্যাকবুক এয়ার সিরিজের এম টু ও এম থ্রি কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। যদি ম্যাকবুক এয়ার সিরিজের এম টু ও এম থ্রি মডেলের গ্রাহক হয়ে থাকেন, তাহলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করেছে ম্যাকবুক এয়ার নির্মাতা অ্যাপল। কারণ, সফটওয়্যার ও সর্বশেষ নিরাপত্তার মানোন্নয়ন প্রশ্নে মডেল দুটিতে নিয়মিত আপডেট সক্রিয় করবে অ্যাপল। বাজার গবেষকরা বলছেন, বিপণন প্রক্রিয়াকে প্রতিযোগিতাপূর্ণ আর পুরোনো মডেলের পরিবর্তে নতুন মডেলে ঢেলে সাজাতেই অ্যাপল এমন উদ্যোগ নিয়েছে। অতীত রেকর্ড ভেঙে তারা বছরের শুরুতেই অ্যাপল পণ্য বাজারে উন্মোচন করেছে। সুতরাং বছরজুড়েই এমন মডেল বিপণন বন্ধের ঘোষণা আসবে, তা প্রায় নিশ্চিত করেই অনুমেয়। যারা নতুন ম্যাকবুক কিনতে আগ্রহী বা ভাবছেন যে ম্যাকবুক এয়ার এম থ্রি, এম ফোর মডেলের মধ্যে কোনটা নির্বাচন করবেন, তাদের উদ্দেশে অ্যাপল বলছে, নতুন এম ফোর চিপযুক্ত ম্যাকবুক এয়ার গত বছর অবমুক্ত হওয়া ম্যাকবুক এয়ার এম থ্রি মডেলের তুলনায় দামে তুলনামূলক সাশ্রয়ী হবে। ম্যাকবুক এয়ার এম ফোর মডেল দুটি সংস্করণে পাওয়া যাচ্ছে। একটি মডেল ১৩ ইঞ্চি পর্দা, অন্যটি ১৫ ইঞ্চি পর্দাবিশিষ্ট।
অ্যাপল বিশ্লেষকরা বলছেন, আগের রীতিনীতি ভেঙে অ্যাপল এখন বাজেটবান্ধব হতে চলেছে। বৈশ্বিক বাজার প্রতিযোগিতায় নিজেকে দামের বিবেচনায় ঢেলে সাজাতে অ্যাপল ডিভাইস বিভাগ ও গবেষক দল কাজ করছে। সে কারণেই নতুন কোনো মডেলের সঙ্গে যদি আগের মডেলের দাম কাছাকাছি হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে পুরোনো মডেলকে বিপণন থেকে সরিয়ে নিচ্ছে অ্যাপল। কিছুদিন আগে আইফোনের আগের তিনটি মডেল বিপণন বন্ধের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। এবার বন্ধ হলো ম্যাকবুক এয়ার সিরিজের দুটি মডেল। সামনে এমন আরও কিছু ঘোষণা আসবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অ য পল এম থ র এম ফ র ব পণন

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়। 

গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’ 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।

টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন। 

এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’ 

সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ