মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলোচনার আমন্ত্রণ যথাযথ যাচাই-বাছাইয়ের পরে ইরান এর জবাব দেবে। সোমবার ইরান আমেরিকাকে জবাব দেবে। সোমবার ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

সম্প্রতি তেহরানকে আলোচনার টেবিলে বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছে চিঠি দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাতে তিনি সাফ জানিয়েছেন, ইরান হয় আলোচনার টেবিলে বসবে, নতুবা তাদেরকে সামরিক পদক্ষেপের মুখোমুখি হতে হবে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ও প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ট্রাম্পের চিঠি ও পারমাণবিক আলোচনার জন্য জনসমক্ষে আহ্বানকে প্রতারণামূলক এবং হুমকি বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়ার কাজ চলছে।

তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত, আমাদের কাছে (ট্রাম্পের) চিঠি প্রচার করার কোনো কারণ নেই.

.. এই চিঠির প্রতি আমাদের প্রতিক্রিয়া সম্পূর্ণ যাচাই-বাছাইয়ের পর উপযুক্ত চ্যানেলের মাধ্যমে দেওয়া হবে।”

ইরানের মুখপাত্র ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে পরস্পরবিরোধী সংকেত দেওয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করে জানিয়েছেন, তেহরানের অর্থনীতির উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি আলোচনার জন্য প্রস্তুতির কথা বলছে যুক্তরাষ্ট্র।

তিনি বলেন, “কূটনৈতিক আলোচনার শিষ্টাচার হলো প্রতিটি পক্ষকে অন্য পক্ষের স্বার্থ স্বীকার করতে হবে এবং আরো গুরুত্বপূর্ণভাবে তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণে বিশ্বাস রাখতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র তা সম্মান করে না এবং আলোচনার সম্ভাবনাকে প্রচারণা ও রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।”

ঢাকা/শাহেদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ