সাকিব ‘মেগাস্টার’, আমি ওই পর্যায়ে যাইনি: বললেন হামজা
Published: 17th, March 2025 GMT
বিমানবন্দর থেকে হবিগঞ্জের বাড়ি—যখন যেদিকে যাচ্ছেন হামজা চৌধুরী, টের পাচ্ছেন তাঁকে ঘিরে উন্মাদনা। হাজারো মানুষ ভিড় করছেন তাঁর বাড়ির সামনে। তাঁকে বরণ করে নিতে ছিল ফুলের তোড়া, ফ্লেয়ার ও পতাকা। বাংলাদেশে পা রেখেই ক্রীড়াঙ্গন সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন হামজা।
আরও পড়ুন‘আফনারা সবাই আসছেন আমারে দেখবার লাগি, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’: নিজের বাড়িতে সংবর্ধনা মঞ্চে হামজা১ ঘণ্টা আগেহামজাই কি বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বড় তারকা? গত কয়েক দিন ধরে এই আলোচনাও আছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তাঁর তুলনাটা হচ্ছে মূলত ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসানের সঙ্গে। দুজনের মধ্যে কার বেশি খ্যাতি, এ নিয়ে যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা তুঙ্গে—তখন প্রশ্নটা পৌঁছে গেছে হামজার কাছেও।
হবিগঞ্জে নিজ বাড়িতে বাবার সঙ্গে হামজা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’