চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা থানা এলাকা থেকে ৪ বছরের এক শিশুকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির মামলায় এক দম্পতিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

দণ্ডিত আসামিরা হলেন মো. সাখাওয়াত হোসেন ও তার স্ত্রী মোসাম্মৎ কমলা বেগম। এর মধ্যে সাখাওয়াত হোসেনকে দুটি পৃথক ধারায় দুইবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে সাখাওয়াতের মা-ভাইসহ ৩ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় দেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন।

আদালত সূত্র জানায়, আসামি সাখাওয়াত হোসেন নগরের পতেঙ্গা থানার খেজুরতলা এলাকায় মো.

সোহেলের ঘরে সাবলেট হিসেবে ভাড়া থাকতো। ঠিকমতো ভাড়া পরিশোধ করতে না পারায় সোহেল তাকে ঘর ছেড়ে দিতে বলে। ২০১৮ সালের ১৩ জুন সন্ধ্যায় সাখাওয়াত সোহেলের বাসায় গিয়ে চিপস কিনে দেওয়ার কথা বলে তার ৪ বছর বয়সী কন্যা সায়মা আক্তারকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর মোবাইলে ফোন করে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরদিন দুপুরে সোহেল বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ সায়মা আক্তারকে উদ্ধার করে এবং আসামিদের গ্রেপ্তার করে। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পতেঙ্গা থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মামুনুর রশিদ এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হলে আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। মামলায় মোট ৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। আসামিরা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

চট্টগ্রাম/রেজাউল/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। 

শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।  

গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।

এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে র‌্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে। 

পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কক্সবাজারে অপহৃত রোহিঙ্গা উদ্ধার, আটক ৩
  • র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ: চক্রের মূল হোতা গ্রেপ্তার
  • কল্পনা চাকমার অপহরণের বিচার চেয়ে ফেরার পথে হামলার অভিযোগ, গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির নিন্দা
  • আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার