শিশু অপহরণের মামলার আসামিকে দুবার যাবজ্জীবন দিলেন আদালত
Published: 17th, March 2025 GMT
সাড়ে ছয় বছর আগে বাসায় বেড়াতে এসে চিপস কিনে দেওয়ার কথা বলে চার বছরের এক কন্যাশিশুকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির মামলায় একজনকে দুবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ চট্টগ্রামের বিচারক ফেরদৌস আরা এই রায় দেন।
ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি শফিউল মোরশেদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আদালত আসামি শাখাওয়াত হোসেনকে দুবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, তার সহযোগী কমলা বেগমকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ১৩ জুন নগরের পতেঙ্গা থানার খেজুরতলা এলাকায় বাসায় বেড়াতে এসে চার বছরের শিশুকন্যাকে চিপস কিনে দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যান শাখাওয়াত হোসেন। পরে শিশুটিকে আটকে রেখে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। শাখাওয়াত নগরের ইপিজেড এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
ঘটনার আগে শিশুটির পরিবারে সাবলেট ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতেন। পরে বাসায় বেড়াতে এসে শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে যান। পরে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ৮ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচার শুরু হয়। পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এই রায় দেন।
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, রায় ঘোষণার সময় হাজির ছিলেন আসামিরা। পরে আদালতের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সৌদিপ্রবাসীর অপহৃত শিশুসন্তান উদ্ধার
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়ন থেকে অপহৃত সাত বছরের একটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রুহুল আমিন (২০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মধ্যে অপহরণকারীরা গতকাল শুক্রবার গহিন জঙ্গলে মায়ের কাছে শিশুটিকে দিয়ে পালিয়ে গেছে। তবে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) রাঙ্গাঝির এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিনের দাবি, তিন লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহরণকারীরা শিশুটিকে মায়ের কাছে দিয়ে গেছে।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে সৌদি আরবপ্রবাসী সাইফুল ও শাহেদা বেগম দম্পতির সাত বছরের ছেলেকে বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের অভিযানে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মুক্তিপণ দিয়ে শিশুটিকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
বাইশারী ইউপির রাঙ্গাঝিরি এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গাঝিরি পাড়ার শিশুটি অপহৃত হওয়ার পর পরিবার থেকে অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। অন্যদিকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীও অভিযান পরিচালনা করেছে। গতকাল শুক্রবার শিশুটির মা রাঙ্গাঝিরি থেকে আলেক্ষ্যং এলাকায় যান। সেখান থেকে তাঁর অপহৃত সন্তানসহ বিকেলে ফিরে আসেন। সন্ত্রাসীরা প্রথমে ১০ লাখ টাকা দাবি করলেও পরে তিন লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে তাঁরা জেনেছেন।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, অভিযানের মুখে অপহৃত শিশুটিকে মুক্তি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। অপহরণের ঘটনার পর থেকে অভিযান চালানো হয়েছে। উদ্ধারের পর শিশুটির পরিবার মামলা করার জন্য থানায় গেছে।