পান্থপথ–নিউমার্কেট এলাকার যানজট নিয়ন্ত্রণে ডিএমপির নির্দেশনা
Published: 17th, March 2025 GMT
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানীর পান্থপথ ও নিউমার্কেটসহ বেশ কিছু সড়কে যান চলাচলে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বিভিন্ন বিপণিবিতানে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা নগরবাসী ও এসব এলাকা দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের সুবিধার্থে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন বিপণিবিতানকেন্দ্রিক কেনাকাটার জন্য বিপুল জনসমাগম হচ্ছে। নগরবাসীর ঈদ কেনাকাটার সুবিধার্থে কেনাকাটা ছাড়া অন্যান্য যানবাহনকে ২১ ও ২২ মার্চ এবং ২৬ মার্চ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন মার্কেটসংলগ্ন রাস্তা যথাসম্ভব পরিহার করে বিকল্প পথে চলাচলের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। বিকল্প পথগুলো হলো—
সোনারগাঁও ক্রসিং থেকে পান্থপথ (বীর উত্তম কাজী নুরুজ্জামান সড়ক) হয়ে পান্থপথ এলাকা/ নিউমার্কেট এলাকা/ ধানমন্ডি/ মোহাম্মদপুর/ জিগাতলা/ মিরপুরগামী যানবাহনগুলোকে ফার্মগেট বা শাহবাগের দিকে ডাইভারশন দেওয়া হবে।
পান্থপথ–গ্রিনরোড ক্রসিং থেকে সোনারগাঁও ক্রসিংগামী যানবাহনগুলোকে (পান্থপথে ইউটার্নকারী যানবাহনসহ) গ্রিন রোডে/ রাসেল স্কয়ার বা ফার্মগেটের দিকে ডাইভারশন দেওয়া হবে।
মিরপুর রোড ও ধানমন্ডি থেকে আসা সায়েন্সল্যাব ইন্টারসেকশন হয়ে নিউমার্কেটগামী যানবাহনগুলোকে (সিটি বাস ছাড়া) সায়েন্স ল্যাব ক্রসিং থেকে বাঁয়ে মোড় নিয়ে এলিফ্যান্ট রোড বা কাঁটাবন রোড অথবা পলাশী ক্রসিং হয়ে চলাচলের জন্য ডাইভারশন দেওয়া হবে।
নিউমার্কেট ক্রসিং-এ নিউমার্কেটের সামনে দিয়ে মিরপুর সড়কগামী যানবাহনগুলোকে (সিটি বাস ছাড়া) নিউমার্কেট ক্রসিং থেকে নীলক্ষেত ক্রসিং বা আজিমপুর ক্রসিং বা নিউমার্কেট-পিলখানা সড়কের দিকে ডাইভারশন দেওয়া হবে।
ডিএমপি আরও জানিয়েছে, নিউমার্কেট ক্রসিং থেকে সায়েন্সল্যাব ক্রসিং পর্যন্ত মিরপুর রোডের দুই পাশে রিকশা চলাচলের জন্য আলাদা লেন (যে লেন দিয়ে কমপক্ষে তিনটি রিকশা পাশাপাশি চলতে পারবে) তৈরি করা হচ্ছে। রিকশাচালক ও যাত্রীদের ওই লেনে চলাচল করতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
পান্থপথ ও মিরপুর রোডে নিউমার্কেটের সামনে দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে ডাইভারশন এবং মিরপুর রোডের নিউমার্কেট এলাকায় রিকশা লেন মেনে চলাচল করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ সবার সহযোগিতা কামনা করছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি পালনকালে ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।
গতকাল সোমবার এসবির এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পুলিশের সব বিভাগকে পাঠিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে এসবি। এসবির একটি সূত্র প্রথম আলোকে এই প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে এসবি।
নির্দেশনাগুলো হলো ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহজনক ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব রোধে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা।
এ ছাড়া কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে এসবিকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে।