হামজাকে কোন পজিশনে খেলাবেন কাবরেরা
Published: 18th, March 2025 GMT
মূলত তিনি ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। যে ক্লাবে খেলে হামজা চৌধুরী সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পেয়েছেন, সেখানে এই পজিশনেই সবচেয়ে বেশি খেলেছেন। তবে লেস্টার সিটির বয়সভিত্তিক দল, ইংল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দল, বার্টন, ওয়াটফোর্ড ও শেফিল্ড ইউনাইটেডে দলের প্রয়োজনে অন্য পজিশনেও খেলেছেন। সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার, লেফট ব্যাক, রাইট ব্যাক, সেন্টার ব্যাক এবং উইঙ্গার হিসেবেও খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। এখন বাংলাদেশের জার্সিতে কোন পজিশনে খেলেন হামজা, সেটাই দেখার অপেক্ষা।
আরও পড়ুনমেসিকে ছাড়াই ব্রাজিল ও উরুগুয়ের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা৮ ঘণ্টা আগেসাধারণত একজন ফুটবলারের মাঠের পজিশন ঠিক করে দেন তাঁর কোচ। যদিও সংশ্লিষ্ট ফুটবলারের দক্ষতা ও তাঁর মতামতকেও এ ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয়। তেমনটা হলে বাংলাদেশের জার্সিতে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডেই হামজাকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ফুটবলের পরিসংখ্যান টুকে রাখা জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ট্রান্সফার মার্কেটের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ১১৫ ম্যাচই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে খেলেছেন হামজা। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭২ ম্যাচে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে দেখা যায় তাঁকে। এ ছাড়া ১৮ ম্যাচে রাইট ব্যাক হিসেবে, ৪ ম্যাচে সেন্টার ব্যাকে, ২ ম্যাচে উইঙ্গার আর একটি ম্যাচ খেলেছেন লেফট ব্যাক পজিশনে।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’