৮ নম্বর জার্সি গায়ে কোন পজিশনে খেলবেন হামজা?
Published: 18th, March 2025 GMT
আগামী ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হচ্ছে ইংল্যান্ডপ্রবাসী মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীর। অভিষেক ম্যাচে তিনি কোন নম্বরের জার্সি পরতে চান—এমন প্রশ্নের জবাবে হামজার উত্তর, ‘৮ নম্বর’। এই জার্সি এর আগে বাংলাদেশ দলে পরে খেলেছেন চন্দন রায়, মামুনুল ইসলাম, এনামুল হক ও সাদ উদ্দিনরা।
তবে জার্সি নম্বর ঠিক হলেও, হামজা খেলবেন কোন পজিশনে এটা এখনও স্পষ্ট নয়। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে বেশি পরিচিত হলেও, হামজা খেলেছেন আরও কয়েকটি পজিশনে। সেন্ট্রাল মিডফিল্ড, রাইট ব্যাক, লেফট ব্যাক, সেন্টার ব্যাক ও উইঙ্গার হিসেবেও তার রয়েছে খেলার অভিজ্ঞতা।
ট্রান্সফারমার্কেট-এর তথ্য অনুযায়ী, তিনি সবচেয়ে বেশি ১১৫ ম্যাচ খেলেছেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে। এছাড়া ৭২ ম্যাচ সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে, ১৮ ম্যাচ রাইট ব্যাকে, ৪ ম্যাচ সেন্টার ব্যাকে, ২ ম্যাচ উইঙ্গার এবং ১ ম্যাচ লেফট ব্যাক পজিশনে খেলেছেন।
বাংলাদেশ দলে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে আছেন জামাল ভূঁইয়া। একই পজিশনে খেলেন পাপন সিংহ ও মোহাম্মদ হৃদয়ও। ফলে হামজাকে সেই পজিশনে খেলাতে চাইলে কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে দলের গঠন নিয়ে নতুন করে ভাবতে হতে পারে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’