ঈদ সামনে রেখে জনপ্রিয় সব ব্র্যান্ডশপ থেকে গ্রাহকের কেনাকাটা আরও সহজ করতে ফেসবুকভিত্তিক লাইভ থেকে শপিং করার সুযোগ করে দিচ্ছে বিকাশ। বিকাশের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ, বিকাশ ফর বিজনেস এবং সংশ্লিষ্ট মার্চেন্টদের পেজ থেকে লাইভ চলাকালীন গ্রাহকেরা লা রিভ, সারা লাইফস্টাইল, সেইলর, র নেশন, ফেব্রিলাইফ ও সেলাই–এর মতো জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলোতে কেনাকাটা করে মার্চেন্টভেদে পেতে পারেন ৫০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট বা ক্যাশব্যাক। শুধু তা–ই নয়, এই লাইভ সেশনগুলো থেকে গ্রাহকেরা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ঈদ কালেকশনগুলো সম্পর্কেও ধারণা নিতে পারছেন।

লাইভ চলাকালে গ্রাহকেরা সরাসরি মার্চেন্টদের ফেসবুক অথবা ওয়েবসাইট ভিজিট করে পণ্য অর্ডার করতে পারছেন। পাশাপাশি আউটলেট থেকে কেনার ক্ষেত্রে বিকাশ পেমেন্ট করার সময় আর–ওয়ান (R1) কুপন যোগ করে গ্রাহকেরা পেতে পারেন ৫০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট।

এই ক্যাম্পেইনের অধীনে প্রতিদিন লাইভ সেশন হচ্ছে এসব পেজে, যেখানে জনপ্রিয় উপস্থাপকেরা ব্র্যান্ডগুলোর ঈদ কালেকশন তুলে ধরছেন। শুধু তা–ই নয়, গ্রাহকেরা লাইভ সেশনটি বিভিন্ন গ্রুপে, পেজে বা প্রোফাইলে শেয়ার করে জিতে নিতে পারেন উপহার। সবচেয়ে বেশি শেয়ারকারী বিজয়ী পাবেন মার্চেন্টের পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার। লাইভ চলাকালীনই বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। এ ছাড়া নির্দিষ্ট কিছু মার্চেন্টে গ্রাহকেরা লাইভ শেয়ার করার স্ক্রিনশট দেখালে কেনাকাটায় পাচ্ছেন আরও বিশেষ ছাড়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র হক র ফ সব ক

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ