আবারো হত্যাক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে গাজা
Published: 18th, March 2025 GMT
গাজা শহরের আল-আহলি হাসপাতাল ব্যাপক হতাহতের সংখ্যায় উপচে পড়ছে। ইসরায়েলি হামলায় হতাহতের শিকার পুরো পরিবার আসছে চিকিৎসা নিতে, যাদের মধ্যে ২৬ জনের একটি পরিবারও রয়েছে। এই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মহিলা, শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিরা রয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার পর মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে এখনো পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪২ জনে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার রাতের হামলা আবারো প্রমাণ করে যে গাজা উপত্যকা জুড়ে কোনো নিরাপদ স্থান নেই। জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতির পর মানুষ বোমা বিস্ফোরিত বাড়িঘর এবং উচ্ছেদ কেন্দ্রগুলিতে ফিরে গিয়েছিল। তারা ভেবেছিল যুদ্ধবিরতির কারণে এটি নিরাপদ হবে, কিন্তু ঘটনাটি তেমন ছিল না। এই জায়গাগুলোর ভেতরেই তাদের হত্যা করা হয়েছে। গাজা আবারো একটি হত্যাক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
এখনো পর্যন্ত, এটা স্পষ্ট নয় যে মানুষ বেঁচে থাকার চেষ্টা করা ছাড়া আর কী করবে। অনেকেই আল-আহলি হাসপাতাল এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের ভেতরে আশ্রয় নিয়েছেন।
আল-জাজিরার স্থানীয় সংবাদদাতা বলেছেন, “আমরা এখানে একজন মাকে দেখেছি, যিনি তার দুই মেয়ের মৃতদেহের উপর কাঁদছেন।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’