গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় ময়লার স্তূপ থেকে মুখ বাঁধা অবস্থায় আবু সালাম (২৯) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পলাশবাড়ী উপজেলার মহেশপুর এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। 

অজ্ঞাত যুবক হিসেবে লাশ উদ্ধার করা হলেও পরে রংপুর থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দল এসে তার পরিচয় শনাক্ত করে। আবু সালাম লালমনিরহাট সদর উপজেলার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে মহেশপুর এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশে ময়লার স্তূপে মুখ বাঁধা অবস্থায় একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তারা। খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।  

পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলফিকার আলী ভুট্টো জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই যুবককে অন্যত্র হত্যা করে লাশ ময়লার স্তূপের মধ্যে ফেলে রেখে গেছে কেউ। কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি। রংপুর থেকে সিআইডির একটি দল এসে নিহত যুবকের পরিচয় শনাক্ত করেছে।

ওসি আরো জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পলাশবাড়ী থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। 

ঢাকা/মাসুম/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ময়ল র স ত প মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ