দেশের ক্রিকেটে প্রথমবার ৪০০ রানের কীর্তি মুস্তাকিমের
Published: 18th, March 2025 GMT
স্কুল ক্রিকেটে মুস্তাকিম হাওলাদার রেকর্ড ৪০৪ রানের হার না মানা এক ইনিংস খেলছেন। বাংলাদেশের স্বীকৃত কোন ক্রিকেটে এটাই প্রথম ব্যক্তিগত ৪০০ রানের কীর্তি।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাউন্ডে ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের হয়ে সেন্ট গ্রেগরি স্কুল এন্ড কলেজের বিপক্ষে এই ইনিংস খেলেন তিনি। সেটাও আবার ৫০ ওভারের ক্রিকেটে।
মুস্তাকিম ওপেনিংয়ে নেমে ১৭০ বলে তার ৪০৪ রানের ওই ইনিংস সাজান। তার ব্যাট থেকে ৫০টি চার ও ২২টি ছক্কা আসে। শুধু মুস্তাকিম নয় দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন চারে নামা ক্যামব্রিয়ান স্কুলের সাদ পারভেজ। তিনি ১২৪ বলে ২৫৬ রান করেন। ৩২টি চারের সঙ্গে ১৩টি ছক্কা মারেন।
তাদের দুর্দান্ত ওই ব্যাটিংয়ে ৫০ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ৭৭০ রান তোলে ক্যামব্রিয়ান স্কুল। জবাবে মাত্র ৩২ রানে অলআউট হয়ে যায় গ্রেগরি। ক্যামব্রিয়ান স্কুল ৭৩৮ রানের জয় পায়।
বাংলাদেশের যেকোন পর্যায়ের স্বীকৃত ক্রিকেটে এর আগে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল তামিম ইকবালের। তিনি ২০২০ সালে ইস্ট জোনের হয়ে ৪২৬ বলে ৩৩৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন। তার আগে দেশের ক্রিকেটে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন রাকিবুল হাসান। তিনি ২০০৬-০৭ মৌসুমে সিলেটের হয়ে বরিশালের বিপক্ষে ৩১৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেছিলেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক য মব র য় ন স ক ল
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথমবার বিগ ব্যাশে বাবর আজম
বিশ্ব ক্রিকেটে ব্যাট হাতে বহুবার তোলপাড় করা বাবর আজম এবার অস্ট্রেলিয়ার জমজমাট বিগ ব্যাশ লিগে (বিবিএল) পা রাখতে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন গুঞ্জনের পর অবশেষে এই পাকিস্তানি তারকাকে নিজেদের স্কোয়াডে টেনে নিয়েছে সিডনি সিক্সার্স। নতুন মৌসুমে (২০২৫) তাকে দেখা যাবে গোলাপি জার্সিতে।
এটাই বাবরের প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশে খেলার অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে। সিডনি সিক্সার্সের সঙ্গে তার এই চুক্তিটি হয়েছে প্রি-সাইনিং অপশনের মাধ্যমে, যেখানে প্রতিটি দল আন্তর্জাতিক ড্রাফট শুরুর আগেই একজন বিদেশি ক্রিকেটারকে দলে নিতে পারে। ১৯ জুন শুরু হতে যাওয়া আন্তর্জাতিক ড্রাফটের আগেই সিক্সার্স বাবরের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন করে।
দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাবরের মতো বিশ্বমানের অভিজ্ঞ একজন টপ অর্ডার ব্যাটারকে পাওয়ার অর্থই হলো দলে গভীরতা ও ভারসাম্য বাড়ানো। এই তারকার সঙ্গে একই দলে থাকছেন স্টিভ স্মিথ, শন অ্যাবটের মতো অভিজ্ঞ অজি খেলোয়াড়রা, যা দলের শক্তিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।
গত মৌসুমে একমাত্র সিডনি সিক্সার্সই ছিল এমন দল, যারা কোনো বিদেশি তারকাকে আগেভাগে দলে নেয়নি। এবার তারা সেই ঘাটতি পূরণ করল বাবরের মতো একজন ক্রিকেট সেনসেশনকে নিয়ে।
তবে বাবরের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অনেকবার। পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলে তার জায়গা এখন অনিশ্চিত, ব্যাটেও অনুজ্জ্বল সময় কাটছে। তবু, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে নতুন এই চ্যালেঞ্জ বাবরের জন্য এক নতুন দরজা খুলে দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
চুক্তির পর নিজের প্রতিক্রিয়ায় বাবর জানান, “এটা আমার জন্য দারুণ এক সুযোগ। বিগ ব্যাশ বিশ্বের অন্যতম সেরা টি-টোয়েন্টি লিগ এবং সিডনি সিক্সার্স একটি সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি। এই দলে খেলার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত। আমি চাই দলের জয়ে অবদান রাখতে, ভক্তদের ভালোবাসা কুড়াতে এবং এই অভিজ্ঞতা আমার পরিবারের সঙ্গে ভাগ করে নিতে।”
অস্ট্রেলিয়ায় বাবরের প্রথম আগমনকে ঘিরে ইতোমধ্যেই পাকিস্তানি ভক্তদের মধ্যে উচ্ছ্বাসের জোয়ার বইছে। অনেকেই বলছেন, হয়তো এটাই সেই ‘নতুন শুরু’, যেটা বাবরের ক্যারিয়ার আবার উজ্জ্বল করে তুলতে পারে।
ঢাকা/আমিনুল