পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপদ্রীপ চাকমার সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে পার্বত্য চট্টগ্রামে লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট, পার্বত্য অঞ্চলের পানি সংকট নিরসন, পরিবেশ সুরক্ষা, টপ সয়েল সেভ, ইকোট্যুরিজম, রিনিউবল এনার্জি খাতে  ইইউ’র বিশেষ সহযোগিতামূলক বিনিয়োগের বিষয়ে আশ্বাস ব্যক্ত করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ’র রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স ভবনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.

) সুপ্রদীপ চাকমার সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়।

বাংলাদেশের উন্নয়নে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অংশগ্রহণের প্রশংসা করে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামে কোয়ালিটি এডুকেশন, দুর্গম এলাকার পানির সমস্যা নিরসন, লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট, পরিবেশ সহায়ক ইট তৈরি এবং পরিবেশ ও প্রতিবেশ বজায় রেখে সোলার এনার্জি সংশ্লিষ্ট খাতে সহযোগিতার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।”

ইইউ রাষ্ট্রদূত সোলার এনার্জি ও রিনিউয়েবল এনার্জি খাতে বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। ইইউ প্রতিনিধি পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ি ফলমূল এবং সবজির অধিকতর মার্কেটিং ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের এরূপ ইচ্ছার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল খালেক, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম এনডিসি, যুগ্ম সচিব কংকন চাকমা, ডেলিগেশন অব দি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টু বাংলাদেশ এর ফার্স্ট কাউন্সিলর, টিম লিডার-গ্রীন ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট মি. এডউইন কুক্ কুক্, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও উপদেষ্টার একান্ত সচিব খন্দকার মুশফিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/হাসান/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট প চ কম

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ