“নিশ্চিন্তে গড়ি নিরাপদ বাড়ি” প্রতিপাদ্য নিয়ে নারায়ণগঞ্জে ঢালাই স্পেশাল সিমেন্ট বাড়ি নির্মাণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সিদ্ধিরগঞ্জের দি ওয়ান রেস্টুরেন্টে ইউনিক সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (ইউসিআইএল) এর আয়োজনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। 

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র এজিএম (সেলস এন্ড মার্কেটিং) খান জাফর আলতাফ। প্রধান আলোচক ছিলেন, এজিএম ( টেকনিকাল সাপোর্ট) বিদ্যুৎ কুমার বনিক। ম্যানেজার (সেলস এন্ড মার্কেটিং) মো.

ইমরান হাসান ইমন এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ম্যানেজার ( ব্রান্ড) মো. রাকিবুল হাসান, ম্যানেজার ( টেকনিকাল সাপোর্ট) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম। সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

ইউনিক সিমেন্ট ইন্ডাট্রিজ লিমিটেড সিনিয়র এজিএম (সেলস এন্ড মার্কেটিং) খান জাফর আলতাফ বলেন, সর্বাধুনিক জার্মান পলিকম প্রযুক্তিতে তৈরি র‌্যাপিড হার্ডেনিং ক্যাটাগরির বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র ঢালাই-এর বিশেষজ্ঞ ঢালাই স্পেশাল সিমেন্ট। 

ঢালাই স্পেশাল সিমেন্ট ওপিসি সিমেন্টের মতো প্রথম ২ দিনে ২০ এমপিএ শক্তি অর্জন করে যেখানে অন্যান্য সাধারণ সিমেন্ট অর্জন করে ১০ এমপিএ শক্তি। সেইসাথে এই সিমেন্ট একদিকে যেমন স্বল্প সময়ে সাধারণ পিসিসি সিমেন্ট এর তুলনায় দ্বিগুন দ্রুত দৃঢ়তা লাভ করে, তেমনি সময়ের সাথে সাথে দীর্ঘমেয়াদে স্থাপনাকে করে আরও সৃদৃঢ়।

এছাড়া ঢালাই স্পেশাল সিমেন্ট ব্যবহার করে মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই ছাদের শাটারিং খুলে ফেলা সম্ভব। এর দ্রুত প্রাথমিক শক্তি অর্জনের ক্ষমতা, শাটারিং দ্রুত অপসারণ সুবিধা এবং অধিক ভার বহন করার ক্ষমতা থাকার ফলে বহুতল ভবন, রাস্তা ও সেতু নির্মাণের মতো উচ্চ-শক্তির প্রকল্পগুলোতে এটি নির্মাণ বিশেষজ্ঞদের প্রথম পছন্দ।

তাই দ্রুত সময়ে যেকোন স্থাপনার ছাদ, বিম ও কলামের সেরা নির্মাণ নিশ্চিত করতে ঢালাই স্পেশাল সিমেন্ট বিশেষভাবে কার্যকরী।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

পাল্টাপাল্টি হামলার তীব্রতা বাড়ল

ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে আরও অশান্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হামলার তীব্রতা বাড়াচ্ছে দুই দেশ। ইসরায়েলে গত শনিবার রাতভর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। একই রাতে ইরানের গ্যাসক্ষেত্র ও তেল শোধনাগারে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় ইরানের কতজন নিহত হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।

গতকাল রোববার ছিল দুই দেশের পাল্টাপাল্টি হামলার তৃতীয় দিন। শনিবার রাতের পর রোববার দিনের বেলায়ও পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল ও ইরান। এদিন ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা জানিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র

গোষ্ঠী হুতি। চলমান সংঘাতে এই প্রথম ইরানপন্থী কোনো গোষ্ঠী যোগ দিল। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশকে শান্ত করার জন্য প্রচেষ্টা শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ।

গতকাল রাত একটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছিল। এ রাতেও তেহরানের নিয়াভারান, ভালিয়াসর ও হাফতে তির স্কয়ার এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইরানের পূর্বাঞ্চলে মাশহাদ বিমানবন্দরে একটি ‘রিফুয়েলিং’ উড়োজাহাজে আঘাত হানার কথা জানায় ইসরায়েলি বাহিনী। এই উড়োজাহাজগুলো আকাশে থাকা অবস্থায় অন্য উড়োজাহাজে জ্বালানি সরবরাহ করতে সক্ষম। ইরান থেকেও ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার খবর পাওয়া গেছে।

ইসরায়েলে ব্যাপক হামলা ইরানের

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ঠেকানোর কথা বলে গত বৃহস্পতিবার রাতে দেশটিতে প্রথমে হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই রাতে ইসরায়েলের দুই শতাধিক যুদ্ধবিমান ইরানের ‘পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র’ স্থাপনায় আঘাত হানে। শুক্র ও শনিবারও ইরানে হামলা চলে। পাল্টা জবাব দিচ্ছে তেহরানও। তবে ইসরায়েলে শনিবার রাতভর ইরান যে হামলা চালিয়েছে, তা ছিল সবচেয়ে ব্যাপক।

ইসরায়েলে শনিবার প্রথম দফায় ইরানের হামলা শুরু হয় রাত ১১টার পরপর। এ সময় ইসরায়েলের জেরুজালেম ও হাইফা শহরে বেজে ওঠে সাইরেন। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাইফায় অবস্থিত তেল শোধনাগার। পরে রাত আড়াইটার দিকে দ্বিতীয় দফায় হামলা শুরু করে ইরান। তখন তেল আবিব ও জেরুজালেমে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শনিবার রাতে দুই দফায় ৭৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। প্রথম দফায় ছোড়া হয় ৪০টি। এতে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের তামরা শহরে চারজন নিহত হন। দ্বিতীয় দফায় ছোড়া হয় ৩৫টি ক্ষেপণাস্ত্র। এর একটি আঘাত হানে তেল আবিবের কাছে বাত ইয়াম এলাকায়। এতে অন্তত ছয়জন নিহত ও প্রায় ২০০ জন আহত হন। এ ছাড়া রেহভোত শহরে আহত হয়েছেন ৪০ জন।

ইসরায়েলি হামলায় জ্বলছে ইরানের শাহরান তেলের ডিপো। গতকাল দেশটির রাজধানী তেহরানের কাছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ