সিদ্ধিরগঞ্জে ঢালাই স্পেশাল সিমেন্ট বাড়ি নির্মাণ বিষয়ক কর্মশালা
Published: 18th, March 2025 GMT
“নিশ্চিন্তে গড়ি নিরাপদ বাড়ি” প্রতিপাদ্য নিয়ে নারায়ণগঞ্জে ঢালাই স্পেশাল সিমেন্ট বাড়ি নির্মাণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সিদ্ধিরগঞ্জের দি ওয়ান রেস্টুরেন্টে ইউনিক সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (ইউসিআইএল) এর আয়োজনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র এজিএম (সেলস এন্ড মার্কেটিং) খান জাফর আলতাফ। প্রধান আলোচক ছিলেন, এজিএম ( টেকনিকাল সাপোর্ট) বিদ্যুৎ কুমার বনিক। ম্যানেজার (সেলস এন্ড মার্কেটিং) মো.
ইউনিক সিমেন্ট ইন্ডাট্রিজ লিমিটেড সিনিয়র এজিএম (সেলস এন্ড মার্কেটিং) খান জাফর আলতাফ বলেন, সর্বাধুনিক জার্মান পলিকম প্রযুক্তিতে তৈরি র্যাপিড হার্ডেনিং ক্যাটাগরির বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র ঢালাই-এর বিশেষজ্ঞ ঢালাই স্পেশাল সিমেন্ট।
ঢালাই স্পেশাল সিমেন্ট ওপিসি সিমেন্টের মতো প্রথম ২ দিনে ২০ এমপিএ শক্তি অর্জন করে যেখানে অন্যান্য সাধারণ সিমেন্ট অর্জন করে ১০ এমপিএ শক্তি। সেইসাথে এই সিমেন্ট একদিকে যেমন স্বল্প সময়ে সাধারণ পিসিসি সিমেন্ট এর তুলনায় দ্বিগুন দ্রুত দৃঢ়তা লাভ করে, তেমনি সময়ের সাথে সাথে দীর্ঘমেয়াদে স্থাপনাকে করে আরও সৃদৃঢ়।
এছাড়া ঢালাই স্পেশাল সিমেন্ট ব্যবহার করে মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই ছাদের শাটারিং খুলে ফেলা সম্ভব। এর দ্রুত প্রাথমিক শক্তি অর্জনের ক্ষমতা, শাটারিং দ্রুত অপসারণ সুবিধা এবং অধিক ভার বহন করার ক্ষমতা থাকার ফলে বহুতল ভবন, রাস্তা ও সেতু নির্মাণের মতো উচ্চ-শক্তির প্রকল্পগুলোতে এটি নির্মাণ বিশেষজ্ঞদের প্রথম পছন্দ।
তাই দ্রুত সময়ে যেকোন স্থাপনার ছাদ, বিম ও কলামের সেরা নির্মাণ নিশ্চিত করতে ঢালাই স্পেশাল সিমেন্ট বিশেষভাবে কার্যকরী।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫