ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতির কথা ভাবছেন ট্রাম্প
Published: 18th, March 2025 GMT
ইউক্রেনের যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সম্ভাব্য ভবিষ্যতের শান্তি চুক্তিতে রাশিয়ার অঞ্চল হিসেবে ক্রিমিয়াকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বিবেচনা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রশাসনের বরাত দিয়ে সেমাফোর নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
ক্রিমিয়া ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে দখল করে নেয় রাশিয়া। বেশিরভাগ দেশই ক্রিমিয়াকে আন্তর্জাতিকভাবে ইউক্রেনের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং কিয়েভ বলেছে যে তারা কৃষ্ণ সাগর উপদ্বীপ ফিরে পেতে চায়।
বিষয়টির সাথে পরিচিত দুই ব্যক্তির বরাত দিয়ে সেমাফোর জানিয়েছে, ওয়াশিংটনে মার্কিন কর্মকর্তারা জাতিসংঘকে একই কাজ করার জন্য অনুরোধ করার সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেছিলেন।
রয়টার্স স্বাধীনভাবে এই প্রতিবেদনটি নিশ্চিত করতে পারেনি।
সেমাফোর জানিয়েছে, এ ব্যাপারে হোয়াইট হাউস মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে বিভিন্ন বিকল্পের মধ্যে একটি রয়েছে ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’