Prothomalo:
2025-11-03@20:39:15 GMT

ট্রাম্প–পুতিন ফোনালাপ শুরু

Published: 18th, March 2025 GMT

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে ফোনালাপ শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আজ মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে তাঁদের আলোচনা শুরু হয়। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাত আটটা থেকে ফোনালাপ শুরু করেছেন দুজন। তাঁদের আলোচনা চলছে। এ আলোচনা ভালোভাবে এগোচ্ছে।

হোয়াইট হাউসের ডেপুটি চিফ ড্যান স্ক্যাভিনো এক্সে এক পোস্টে বলেন, পুতিনের সঙ্গে কথা বলছেন ট্রাম্প।

বিবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা শুরুর আগে পুতিন রাশিয়ার শিল্পপতি ও উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি রাশিয়ার ওপর বিভিন্ন দেশের নিষেধাজ্ঞা বৈধ নয় বলে মন্তব্য করেন।

ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে আলোচনার বিস্তারিত এখনো সামনে আসেনি। তবে আলোচনা শুরুর আগে ক্রেমলিন বলেছিল, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার ও ইউক্রেন সংঘাত বন্ধে আলোচনা হতে পারে।

ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে ট্রাম্প কথা বলবেন।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প ও পুতিন সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতিতে ইউক্রেন ও রাশিয়ার সম্পদ ভাগাভাগি নিয়েও কথা বলবেন।

এদিকে ফোনালাপ শুরুর আগে এক রুশ কর্মকর্তা জানান, রাশিয়ার পক্ষ থেকে মার্কিন কোম্পানিগুলোকে খনিজ নিয়ে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হতে পারে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউক র ন

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ