যশোরের ঝিকরগাছায় অ্যাম্বুলেন্স ও ইঞ্জিনচালিত ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে মা-মেয়েসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের নবীবনগর বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনার পর অ্যাম্বুলেন্স ফেলে চালক পালিয়ে গেছেন। অ্যাম্বুলেন্সটি হাইওয়ে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। মরদেহ তিনটি ঝিকরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।
নিহত তিনজন হলেন ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী গ্রামের জেহের আলীর স্ত্রী নাজমা বেগম (৫০), তাঁর মেয়ে রত্না খাতুন (১২) ও একই গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে হাসান ইকবাল (৩০)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী থেকে ইঞ্জিনচালিত ভ্যানে করে পাঁচজন যাত্রী বেনাপোলের দিকে যাচ্ছিলেন। ভ্যানটি নবীবনগর বাজারে পৌঁছালে বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা একটি অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ভ্যানের তিন যাত্রী ঘটনাস্থলে নিহত হন। ভ্যানের অন্য দুই যাত্রী আহত হন। তাঁরা স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেন, ভ্যান ও অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে মা-মেয়েসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। চালক পালিয়ে গেলেও অ্যাম্বুলেন্সটি জব্দ করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ঝ করগ ছ স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ