খুলনা নগরের পিকচার প্যালেস মোড়ের অস্থায়ী ঈদ মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে সেখানে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট প্রায় ৪০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এর আগেই প্রায় সম্পূর্ণ মার্কেটটি পুড়ে যায়।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এক বছর আগে ভেঙে ফেলা পিকচার প্যালেস সিনেমা হলের জমিতে ‘পিকচার প্যালেস সুপার মার্কেট’ নামের এই অস্থায়ী মার্কেট গড়ে ওঠে। এতে পোশাক-কাপড়, প্রসাধনী, ক্রোকারিজসহ বিভিন্ন ধরনের ৪০-৫০টি দোকান ছিল।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মার্কেটটি অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠায় সেখানে আগুন লাগার ঝুঁকি ছিল। আজ ভোরে হঠাৎ আগুন ছড়িয়ে পড়লে ব্যবসায়ীরা দ্রুত বেরিয়ে যান। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পুরো মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে। বেশির ভাগ মালামাল পুড়ে যায়।

বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন খুলনা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মতিয়ার রহমান। তিনি বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টুটপাড়া, খালিশপুর ও বয়রা স্টেশনের ৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। কীভাবে ও কী কারণে আগুন লেগেছে, তা তদন্ত না করে বলা যাবে না। তদন্তের পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও জানা যাবে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আগুনে তাঁদের সব মালামাল পুড়ে গেছে। ঈদের আগে এ ক্ষতি কীভাবে সামাল দেবেন, সেই দুশ্চিন্তায় আছেন। এ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার সানোয়ার হুসাইন জানান, ভোরে আগুন লাগার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ