সোমবার ইংল্যান্ড থেকে সিলেট আসা। ছোটখাটো সংবর্ধনার পর হামজা চৌধুরীকে রাজকীয়ভাবে বরণ করে নেন তাঁর নিজের গ্রাম হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার স্নানঘাটের মানুষ। ২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে গতকাল রাতে ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে বাংলাদেশ দলের ক্যাম্প যোগ দিয়েছেন শেফিল্ড ইউনাইটেডের এ ডিফেন্ডার। বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল এবং ক্যাম্পে থাকা ফুটবলাররা বরণ করে নেন ইংলিশ প্রবাসী এ ফুটবলারকে। হামজাসহ জাতীয় দলে এখন চার প্রবাসী। আগে থেকেই ছিলেন ডেনমার্ক প্রবাসী জামাল ভূঁইয়া, ফিনল্যান্ডের তারিক রায়হান কাজী ও কানাডা প্রবাসী সৈয়দ শাহ কাজেম। ইতালিয়ান প্রবাসী ফাহামিদুল ইসলামকে ভারত ম্যাচের পরিকল্পনায় কোচ ক্যাবরেরা না রাখায় সৌদি আরব থেকে ইতালি চলে যান তিনি।
বাংলাদেশের ফুটবলার হিসেবে এবার হবিগঞ্জে এলেও আগে থেকেই নিজের গ্রামের মানুষের প্রতি হামজার টান ছিল। তাই তো মঙ্গলবার ঢাকায় যাওয়ার আগে স্নানঘাটের কিছু লোকের মাঝে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন তিনি। এলাকার দেড় শতাধিক মানুষের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ টাকা বিতরণ করেন। এ সময় হামজার বাবা দেওয়ান মোর্শেদ চৌধুরীসহ পরিবারের অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রব স
এছাড়াও পড়ুন:
নেতানিয়াহু অঞ্চলজুড়ে আগুন লাগাতে চাইছেন: ইরানের প্রেসিডেন্টকে এরদোয়ান
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পুরো মধ্যপ্রাচ্যে আগুন লাগাতে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, নেতানিয়াহু ইরানে হামলা চালিয়ে পারমাণবিক আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন। গতকাল শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে এক ফোনালাপে এরদোয়ান এ কথাগুলো বলেছেন।
এরদোয়ানের দপ্তরের দেওয়া এক বিবৃতি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানি প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান বলেছেন, গাজায় হওয়া জাতিগত হত্যার ঘটনা থেকে বিশ্বের দৃষ্টি সরাতে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইরানি প্রেসিডেন্ট ছাড়াও সৌদি আরব, পাকিস্তান, জর্ডান ও মিসরের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেও কথা বলেছেন এরদোয়ান। ইসরায়েল-ইরান সংঘাত এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি।
শনিবার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান সতর্ক করে বলেন, নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলই এখন এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। তুরস্ক সরকারের যোগাযোগবিষয়ক দপ্তরের বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দপ্তরের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, এরদোয়ান মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। সিসিকে এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলের হামলা গভীরভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করেছে। আইনের তোয়াক্কা না করার যে মনোভাব নেতানিয়াহুর মধ্যে দেখা গেছে তা বিশ্বের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকির।
এরদোয়ান আরও সতর্ক করেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং পুরো বিশ্বের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।