গাজীপুরের কোনাবাড়ীর একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা ঈদ বোনাসসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন। আজ বুধবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে তাঁরা এই কর্মবিরতি পালন করছেন।

শ্রমিকেরা জানান, মহানগরের কোনাবাড়ীর জরুন এলাকায় অবস্থিত আলিফ গ্রুপের স্বাধীন গার্মেন্টস লিমিটেডের শ্রমিকেরা বেশ কিছুদিন ধরেই ঈদ বোনাস, ছুটির টাকা ও চলতি মাসের অর্ধেক বেতনের দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। এ অবস্থায় আজ সকাল থেকে আট শতাধিক শ্রমিক কর্মবিরতি শুরু করেন।

কারখানার প্রিন্টিং সেকশনের কর্মী রাকিবুল হাসান বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের কর্মবিরতি চলবে।

আরেক কর্মী শামসুদ্দিনের প্রশ্ন, সারা বছর কাজ করে যদি ঈদের সময় এমন হয়রানির স্বীকার হতে হয়, তাহলে এর চেয়ে দুঃখের আর কী হতে পারে?

গাজীপুর মহানগর পুলিশের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

নজরুল ইসলাম জানান, মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বলেছে ২৫ মার্চ ঈদ বোনাস ও ২৭ মার্চ চলতি মাসের অর্ধেক বেতন দেওয়া হবে। কিন্তু শ্রমিকেরা তা প্রত্যাখান করে কর্মবিরতি পালন করছেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ঈদ ব ন স

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ