২২ বছর ধরে হাজার পরিবারকে ঈদ সামগ্রী দিচ্ছে ফরিদপুরের এফডিএ
Published: 19th, March 2025 GMT
বিগত ২২ বছর ধরে ফরিদপুরের পদ্মা নদীর চরাঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষকে ঈদ উপহার সামগ্রী দিচ্ছে এফডিএ নামের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। প্রতিবছর এক হাজার পরিবার এই মানবিক সহায়তা পেয়ে থাকে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, চরাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া মানুষের উন্নয়ন ও দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করছে এফডিএ। প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদের আগে স্থানীয় দরিদ্র পরিবারগুলোর মুখে হাসি ফোটাতে চাল, ডাল, ছোলা, চিনি, সেমাই, গুড়া দুধ ও সয়াবিন তেলের একটি প্যাকেজ দিয়েছে এফডিএ।
আজ বুধবার সকালে ফরিদপুর শহরতলীর সিএন্ডবি ঘাট সংলগ্ন এফডিএ অফিস চত্বরে রোজা ও ঈদের এই উপহার পেয়ে হাসি ফুটেছে এক হাজার দরিদ্র পরিবারের মুখে।
এফডিএর উপদেষ্টা আজাহারুল ইসলাম সমকালকে বলেন, সমাজের সব শ্রেণির মানুষ মিলে যাতে একসঙ্গে আনন্দময় পরিবেশে ঈদ করতে পারি সেজন্য আমরা জরিপ করে প্রকৃত হতদরিদ্রদের এই উপহার দেওয়ার চেষ্টা করি।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন খাদ্য সামগ্রী বিতরণের প্রধান অতিথি ছিলেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ ২২ বছর যাবত এমন একটি মানবিক কাজ করার জন্য এফডিএ কর্তৃপক্ষ সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা
‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’
এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন।
এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’
প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।