২২ বছর ধরে হাজার পরিবারকে ঈদ সামগ্রী দিচ্ছে ফরিদপুরের এফডিএ
Published: 19th, March 2025 GMT
বিগত ২২ বছর ধরে ফরিদপুরের পদ্মা নদীর চরাঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষকে ঈদ উপহার সামগ্রী দিচ্ছে এফডিএ নামের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। প্রতিবছর এক হাজার পরিবার এই মানবিক সহায়তা পেয়ে থাকে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, চরাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া মানুষের উন্নয়ন ও দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করছে এফডিএ। প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদের আগে স্থানীয় দরিদ্র পরিবারগুলোর মুখে হাসি ফোটাতে চাল, ডাল, ছোলা, চিনি, সেমাই, গুড়া দুধ ও সয়াবিন তেলের একটি প্যাকেজ দিয়েছে এফডিএ।
আজ বুধবার সকালে ফরিদপুর শহরতলীর সিএন্ডবি ঘাট সংলগ্ন এফডিএ অফিস চত্বরে রোজা ও ঈদের এই উপহার পেয়ে হাসি ফুটেছে এক হাজার দরিদ্র পরিবারের মুখে।
এফডিএর উপদেষ্টা আজাহারুল ইসলাম সমকালকে বলেন, সমাজের সব শ্রেণির মানুষ মিলে যাতে একসঙ্গে আনন্দময় পরিবেশে ঈদ করতে পারি সেজন্য আমরা জরিপ করে প্রকৃত হতদরিদ্রদের এই উপহার দেওয়ার চেষ্টা করি।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন খাদ্য সামগ্রী বিতরণের প্রধান অতিথি ছিলেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ ২২ বছর যাবত এমন একটি মানবিক কাজ করার জন্য এফডিএ কর্তৃপক্ষ সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?