জুলাই আন্দোলনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরোধী ভূমিকায় অবস্থানকারীদের চিহ্নিত করতে তথ্য চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিপ্লববিরোধী চিহ্নিতকরণ কমিটি।

বুধবার (১৯ মার্চ) জুলাই-আগস্টের বিপ্লববিরোধী ভূমিকা চিহ্নিতকরণ কমিটির সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য আহ্বান করা হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জুলাই-আগস্ট বিপ্লব চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিপ্লববিরোধী ভূমিকা চিহ্নিত করার জন্য বিপ্লববিরোধী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আপনাদের কোনো প্রকার অভিযোগ, মতামত, তথ্য বা তথ্যচিত্র থাকলে লিখিত, মৌখিক, ইমেইল বা সরাসরি তদন্ত কমিটির আহ্বায়কের কাছে আগামী ৩০ এপ্রিল এর মধ্যে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো। তবে তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে।

আরো পড়ুন:

গাজায় হামলার প্রতিবাদে ইবি ও কুবিতে বিক্ষোভ

ইবিতে বিশ্ব সমাজকর্ম দিবস পালিত

গত ১৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিপ্লববিরোধী ভূমিকা চিহ্নিতকরণে আল-হাদীস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক আকতার হোসেনকে আহ্বায়ক ও বিএনসিসি অফিসের উপ-রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান মজুমদারকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল গফুর গাজী ও বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারি বিভাগের অধ্যাপক মিন্নাতুল করিম।

কমিটিকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে উপাচার্যের কাছে রিপোর্ট পেশ করার জন্য বলা হয়েছে।

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদস য ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনের আগেই পাঁচ ব্যাংক এক হবে: গভর্নর

বেসরকারি খাতের পাঁচ ইসলামী ব্যাংককে একীভূত (মার্জার) করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সঙ্গে এই একীভূতকরণের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করি, আগামী সরকারও এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেবে। তবে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত হবে।’

আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি ব্যাংককর্মীদের আশ্বস্ত করেন, এই একীভূতকরণের ফলে কোনো কর্মীকে চাকরি হারাতে হবে না।

গভর্নর বলেন, কর্মীদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। প্রয়োজনে কিছু শাখা পুনর্বিন্যাস করা হবে। যেসব ব্যাংকের শাখা শহর এলাকায় বেশি, সেগুলোর কিছু শাখা গ্রামাঞ্চলে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

এ সময় পাচার করা সম্পদ উদ্ধার করা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন গভর্নর। তিনি বলেন, ‘সম্পদ উদ্ধারের বিষয়টি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ধাপে ধাপে অগ্রসর হওয়ার প্রক্রিয়া। আদালতের চূড়ান্ত রায় ছাড়া এসব অর্থ উদ্ধার সম্ভব নয়। এ জন্য সুনির্দিষ্ট তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।

গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমরা চাই, আদালতের মাধ্যমে যাচাই হোক, আমাদের দাবি কতটা সঠিক। আদালতের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই অর্থ উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে।’

বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতির কথা উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, আদালতের বাইরে সমঝোতার মাধ্যমে অর্থ ফেরতের পথও খোলা আছে। সে ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজবেন। সরকার যে পথ নির্ধারণ করবে, আদালত কিংবা এডিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংক সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়ে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে।

গভর্নর আরও বলেন, দেশীয় সম্পদ উদ্ধারে দেশের আদালতে এবং বিদেশি সম্পদ উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট দেশের আদালতে মামলা পরিচালনার প্রস্তুতি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কিছু ব্যাংক একীভূত হবে, কর্মীদের আতঙ্কের কিছু নেই: গভর্নর
  • পাচার অর্থ ফেরাতে যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করছে সরকার: গভর্নর
  • নির্বাচনের আগেই পাঁচ ব্যাংক এক হবে: গভর্নর