বন্ড মার্কেট ছাড়া বৈচিত্র্যপূর্ণ পুঁজিবাজার সম্ভব নয়: বিএসইসি কমিশনার
Published: 19th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ফারজানা লালারুখ বলেছেন, বন্ড মার্কেটকে আমরা ডেভেলপমেন্ট স্টেজে নিয়ে যেতে চাচ্ছি। বন্ড মার্কেট ছাড়া বৈচিত্র্যপূর্ণ পুঁজিবাজার সম্ভব নয়।
বুধবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসির মাল্টিপারপাস হলে ‘বন্ড বা সুকুক ইস্যুকরণের ক্ষেত্রে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে ট্রাস্টির ভূমিকা’ শীর্ষক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফারজানা লালারুখ বলেন, বিএসইসির মূল কাজ হলো কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণ এবং বাজারকে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করা। বন্ড মার্কেটের সুষ্ঠু পরিচালনা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে ট্রাস্টির বিশাল ভূমিকা রয়েছে।
তিনি বলেন, বন্ড মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার গুরু দায়িত্ব রয়েছে ট্রাস্টির ওপর। সেজন্য বন্ড মার্কেটের ভালো পারফর্ম করা এবং এর ভবিষ্যৎ অগ্রগতির ক্ষেত্রে ট্রাস্টির ভূমিকা নির্ধারক বা নির্ণায়ক হিসেবে কাজ করবে। ট্রাস্টি যেন তাদের সঠিক ভূমিকা পালন করতে পারে, সেটিই আজকের সভার প্রধান লক্ষ্য।
বিএসইসি কমিশনার বলেন, বন্ড মার্কেট ছাড়া বৈচিত্র্যপূর্ণ পুঁজিবাজার সম্ভব নয়। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজ যেমন- করপোরেট বন্ড, সুকুক ইত্যাদি বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। সরকারও এই বন্ড মার্কেটের উন্নয়নের জন্য তৎপর এবং তারা বিভিন্ন উদ্যোগ ও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
বিএসইসির যুগ্ম পরিচালক সৈয়দ গোলাম মওলা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি অনুযায়ী বন্ড বা সুকুক ইস্যুকরণের ক্ষেত্রে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে ট্রাস্টির ভূমিকা বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহী করতে এবং আস্থা বাড়াতে ট্রাস্টিসহ সবাইকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। বিএসইসি বন্ড মার্কেটের জন্য কাঠামোগত উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে।
সভায় ট্রাস্টির ভূমিকা পালনকারী বিভিন্ন ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও মার্চেন্ট ব্যাংক, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
ঢাকা/এনএফ/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বন ড ম র ক ট র ব এসইস র
এছাড়াও পড়ুন:
বাজেটে লভ্যাংশ আয় ও বিনিয়োগে কর ছাড় থাকবে: বিএসইসি
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে বিনিয়োগে বিশেষ কর ছাড় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেকের সঙ্গে বৈঠকের পর মঙ্গলবার রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
‘বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে বিএসইসির তাৎক্ষণিক কর্মপরিকল্পনা’ শিরোনামে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে আস্থা বাড়াতে ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সূচক পতনের কারণ খুঁজতে যেসব শেয়ারদরের ওঠা-নাম সূচকে বেশি প্রভাব ফেলছে, সেগুলোর লেনদেনে নজদারি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
এ ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত, বহুজাতিক, বস্ত্র ও ওষুধ খাতের লাভজনক কোম্পানিগুলোর শেয়ারবাজারে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে জানিয়েছে বিএসইসি। পাশাপাশি অতালিকাভুক্ত কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আসতে উৎসাহ দিতে কর ছাড়, ব্যাংক থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নে সীমিত করা এবং শেয়ারবাজারকে বিকল্প অর্থায়নের উৎস হিসেবে গড়ে তুলতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এর বাইরে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সব নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে বিএসইসির সমন্বয় বাড়ানো, আসন্ন বাজেটে লভ্যাংশ ও বিনিয়োগের ওপর কর ছাড় সুবিধা দেওয়ার কথাও জানিয়েছে বিএসইসি।
শেয়ারবাজার বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে টকশো এবং বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা, ফেসবুক ও ইউটিউব ব্যবহার করে বার্তা দেওয়া হবে।
কমিশন আশা করছে, এসব পদক্ষেপ এবং কর্মপরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে এবং বাজারে স্থিতিশীল হবে।
এদিন রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বিএসইসি কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক, কমিশনার মো. মোহসিন চৌধুরী, মো. আলী আকবর ও ফারজানা লালারুখ, যুগ্ম সচিব ড. দেলোয়ার হোসেন, শেয়ারবাজার সংস্কারে গঠিত টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধি এবং বিএসইসির নির্বাহী পরিচালকদের এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
চলতি এপ্রিলে লাগাতার দরপতনের পরও বিএসইসির নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করে কিছু বিনিয়োগকারী রাজধানীর মতিঝিলে বিক্ষোভ করছেন। তারা সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ এ পদে ‘অযোগ্য’ এমন অভিযোগ করে তার পদত্যাগ দাবি করেন।
সরকারি একটি সংস্থার চাপে বিএসইসির চেয়ারম্যান পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন- এমন গুজবে রোববার পতনের ধারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল শেয়ারবাজার। পতন করছেন না- এমন খবরে ফের দরপতন শুরু হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও এফআইডির সচিব বিএসইসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন।
বিএসইসি সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বৈঠক হয়। বৈঠকের পরই বিএসইসির পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কিছু জরুরি কর্মপরিকল্পনা জানানো হয়।