পুরান ঢাকার সূত্রাপুরের ‘প্রেম ভাই’
Published: 20th, March 2025 GMT
পুরান ঢাকার সূত্রাপুরের গল্প এটা। যে গল্পে উঠে আসবে সেই এলাকার বিভিন্ন সমস্যার চিত্র। বিভিন্ন সমস্যা বললে ভুল হবে, মূলত এলাকার একটি বিশেষ সমস্যা নিয়ে এগিয়ে যাবে ‘প্রেম ভাই’ নাটকের গল্প!
যার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন তৌসিফ মাহবুব। সঙ্গে আছেন তানজিম সাইয়ারা তটিনী ও ফারুক আহমেদ। সজিব খানের গল্পে সেজান নুরের সংলাপে ঈদের বিশেষ নাটকটি নির্মাণ করেছেন ইমরাউল রাফাত। নাজমুল হাসানের সিনেমাটোগ্রাফিতে ‘প্রেম ভাই’ নাটকে উঠে আসবে পুরান ঢাকার দারুণ এক গল্প।
সিএমভি’র ব্যানারে নির্মিত এই নাটকের গল্প প্রসঙ্গে নির্মাতা খুব বেশি আগাম বলতে নারাজ। তবুও আভাস দিলেন এভাবে, সূত্রাপুর এলাকায় গত দুই বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে সব সমস্যার সমাধান করা প্রেম ভাই। বিশেষ করে এলাকার তরুণ টগবগে যুবক, প্রেমিক-প্রেমিকাদের একমাত্র আশা-ভরসা এই প্রেম ভাই। এই প্রেম ভাই অনার্স শেষ করে এলাকাতেই থেকে গেছে। দুই বছর আগে শিলা নামের এক মেয়ের সাথে এক বছর প্রেম করেছে। চাকরি বা ব্যবসা করে না বলে শিলার প্রেম ভেঙে যায়। শিলার চলে যাওয়াটা প্রেমের কাছে মোটেও সহজ ব্যাপার ছিল না।
মূলত এই হারানোর ব্যথা কিংবা বিরহের দাগ বুকে নিয়ে নতুন মিশনে নামে প্রেম ভাই। যে মিশনের কারণে রাতারাতি এলাকার সকল তরুণ-তরুণী আর প্রেমিক-প্রেমিকার নয়নমণি হয়ে ওঠে প্রেম ভাই। কিন্তু ছ্যাঁকা খেয়ে কী এমন কাজ করছিলেন প্রেম ভাই তথা তৌসিফ মাহবুব, সেটা জানতে হলে চোখ রাখতে হবে সিএমভি’র ঈদ আয়োজনে।
‘প্রেম ভাই’ নাটকের প্রযোজক-পরিবেশক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, এই ঈদে অন্তত ২০টি বিশেষ নাটক মুক্তি দিতে যাচ্ছে সিএমভি। এগুলো চাঁদরাত থেকে ধারাবাহিকভাবে উন্মুক্ত হবে সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ভারতীয় জলসীমায় গ্রেপ্তার ১৩ বাংলাদেশি
মাত্র দুইদিনের ব্যবধানে আবারো ভারতীয় জলসীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক করা হয়েছে বাংলাদেশি ট্রলার। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মায়ের দোয়া নামক ওই ট্রলারে মোট ১৩ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি বাংলাদেশি ওই ফিশিং ট্রলারটি বাজেয়াপ্ত করেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী।
উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের আটক এর ব্যাপারে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বাজেয়াপ্ত ট্রলার ও ১৩ জন মৎস্যজীবীকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার হাতে ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতে তোলা হবে।
আরো পড়ুন:
জলবায়ু পরিবর্তনে বদলাচ্ছে রোগের চিত্র, বাড়ছে বিরল সংক্রমণ
অজিতের পারিশ্রমিক ২৪১ কোটি টাকা!
এর আগে গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে জলসীমা অতিক্রম করার অভিযোগে আটক করা হয় ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবিকে। ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি ‘এফবি ঝড়’ এবং ‘এফবি মঙ্গলচণ্ডী ৩৮’ নামে দুটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলারের ৩৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। পরবর্তীতে মোংলা থানার পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। পাল্টাপাল্টি মৎস্যজীবী আটকের ঘটনায় দুই দেশের তরফেই ফের কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। তবে মৎসজীবীদের প্রত্যর্পণের বিষয়ে দুই দেশের এখনো কোনোপ্রকার আলোচনা শুরু হয়নি বলেই দূতাবাস সূত্রের খবর।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ