নগরে নাগরিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ও বাসযোগ্য নগরী গড়ে তোলার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক বরাবর ১৮দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন নগর ভাবনা’র আহ্বায়ক সাবেক কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ^াস, এড. মাজেদুল হক রাজন, ওমর ফারুক, রাইসুল রুশদী, আবু কালাম, লিলু মিয়া, নিগার সুলতানা পলি, মাহবুব আলম জয়, মুন্নি সরদার, গোপাল ঘোষ, রফিকুল ইসলাম, জনি সাহা। স্মারক লিপি গ্রহন করেন নাসিক প্রশাসক এ এইচ এম কামরুজ্জামান। 

স্মারকলিপিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনকে একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বাণিজ্যিক নগরী হওয়ায় প্রতিদিন নগরীর কেন্দ্রস্থলে স্থায়ী জনসংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি লোকসমাগম ঘটে। আমাদের মূল শহর একটিমাত্র সড়কের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় যানজট এখন নিত্যসঙ্গী। 

সুস্থ্য, সৌহার্দপূর্ণ, নাগরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য খেলার মাঠ গণপরিসর ও জলাশয়ের রয়েছে ব্যাপক ঘাটতি। ড্যাপের হিসাব অনুযায়ী  পুরো নগরীতে খেলার মাঠ দরকার ১২০.

৩৮ একর, আছে ৩৩.৪ একর এবং পার্কের চাহিদা ৭৪.৩৬ একর, আছে ২.৫২ একর। 

এই রকম একটি পরিবেশে নগরীকে বাসযোগ্য ও নাগরিকের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিম্নোক্ত দাবিসহ ১৮দফা দাবিনামা পেশ করা হয়।

১।    নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে চাষাড়া রেলস্টেশন পর্যন্ত উড়াল/পাতাল পথে যাতায়াত করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।

২।    যানজট নিরসনে ২নং রেল গেইট থেকে চাষাড়া পর্যন্ত রেললাইনের পাশ দিয়ে বিকল্প সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ।

৩।     শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীর ঘেঁষে বিকল্প সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহন।

৪।     নাগরিক চলাচল নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার জন্য বিভিন্ন ওয়ার্ডে দ্রুত এলইডি লাইট স্থাপন।

৫।    নগরীতে নারী বান্ধব টয়লেট স্থাপন।

৬।    অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজে স্বাস্থ্যসম্মত প্রক্রিয়া (ধূলাবালি নিয়ন্ত্রন, দ্রুত বর্জ্য অপসারণ) অনুসরনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৭।    মাসদাইর মহাশ্মশানের পাশ^বর্তী জায়গা (ধর্মীয় প্রয়োজনে) অধিগ্রহণের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ।

৮।    সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন স্থাপনায় (গোরস্থান, শ্মশান, লেক, পার্ক ইত্যাদি) সি.সি. ক্যামেরা স্থাপন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা।

৯।    চাষাড়া থেকে নিতাইগঞ্জ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সড়কের উভয় পাশে নির্মাণাধীন ফুটপাতে বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে বৃক্ষরোপনের উদ্যোগ গ্রহণ।

১০।    শীতলক্ষ্যা নদী দূষণরোধে কার্য্যকর উদ্যোগ গ্রহণ।

১১।    নগরীতে অপ্রতুল খেলার মাঠ ও গণপরিসরের অভাব পূরণে সরকারি পরিত্যক্ত জায়গা ব্যবহার ও অধিগ্রহনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ স ম রকল প ব যবস থ র জন য গ রহণ

এছাড়াও পড়ুন:

আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। 

শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।  

গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।

এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে র‌্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে। 

পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আড়াইহাজারে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কমিটি গঠন
  • মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
  • ইসলামী আন্দোলনের বাবুরাইল ইউনিট কমিটি গঠন
  • পরিবার নিয়ে চীন ভ্রমণে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা
  • নারায়ণগঞ্জে ফ্যাসিবাদদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে : আবদুল্লাহ
  • আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
  • নারায়ণগঞ্জে করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতি গ্রহন
  • রূপগঞ্জে সাংবাদিকতায় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত