কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার চাকিরপশার নদ দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার কৈলাশকুঠি গ্রাম ও বাঁশেরদহ গ্রামে নদে তৈরি করা বাঁধ ভেঙে দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আশির দশকের শুরু থেকে নদের ভেতরে বাঁধ দিয়ে পুকুর বানিয়ে শুরু হয় মাছ চাষ। এতে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে উজানে ১৫ থেকে ২০ হাজার একর জমিতে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছিল চাকিরপশার নদী সুরক্ষা কমিটি। এ নিয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করে। ২০২৩ সালের আগস্টে হাইকোর্ট নদে থাকা সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। এরই সূত্র ধরে শুরু হয় উচ্ছেদ কার্যক্রম।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন রাজারহাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশাদুল হক। উচ্ছেদ অভিযানে উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে সহায়তা করে পুলিশ ও আনসার।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশাদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলার কৈলাশকুঠি গ্রামের কাছের একটি আড়াআড়ি বাঁধ ভেকু দিয়ে ভেঙে অবৈধ দখল উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। জমি অবৈধ দখলদারমুক্ত করতে প্রশাসনের পক্ষে ১৩২টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলার নিষ্পত্তি হলে চাকিরপশার নদ সম্পূর্ণ দখলমুক্ত করা সম্ভব হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক ত কর উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ