সংগীতাঙ্গনের জনপ্রিয় জুটি বালাম ও নাজমুন মুনিরা ন্যানসি। ‘কমন জেন্ডার’ সিনেমায় সর্বশেষ প্লেব্যাক করেন তারা। ২০১২ সালের ১২ জুন মুক্তি পায় এটি। সিনেমাটি মুক্তির কয়েক বছর আগে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন এই যুগল। দীর্ঘ ১৫ বছর পর একসঙ্গে সিনেমার গান কণ্ঠে তুললেন তারা।
নির্মাতা কাজল আরেফিন অমির ‘হাউ সুইট’ নামে একটি ওয়েব ফিল্মে প্লেব্যাক করেছেন বালাম-ন্যানসি। ‘মায়া মায়া লাগে’ শিরোনামের এ গানের কথা লিখেছেন আসিফ ইকবাল। সংগীতায়োজন করেছেন কলকাতার আকাশ সেন।
ন্যানসি বলেন, “বালাম ভাই তো দারুণ একজন গায়ক। আমরা সর্বশেষ ‘কমন জেন্ডার’ সিনেমায় গেয়েছিলাম। মাঝে বালাম ভাই আর আমি একটি প্রতিষ্ঠানের হেপাটাইটিস বি’র সচেতনতামূলক ভিডিওতে কাজ করেছি। কিন্তু আমি আর বালাম ভাই ১৫ বছরের বেশি সময় পর একসঙ্গে গান করলাম। যদিও গানটির ভয়েস দেওয়ার সময় আমাদের দেখা হয়নি। আলাদা আলাদাভাবে ভয়েস নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভালো লাগছে দীর্ঘদিন পর ফের আমার আর বালাম ভাইয়ের একসঙ্গে গান আসায়। দারুণ রোমান্টিক একটি গান। আমার বিশ্বাস, গানটি দর্শকদের দারুণ পছন্দ হবে।”
আরো পড়ুন:
ঢাকায় পাকিস্তানি গায়ক মুস্তফা জাহিদের কনসার্ট
ধানমন্ডির বত্রিশের ভাঙা বাড়িতে ন্যানসি
ন্যানসির প্রশংসা করে বালাম বলেন, “দীর্ঘদিন পর আমি আর ন্যানসি একসঙ্গে প্লেব্যাক করলাম। ন্যানসি তো অসাধারণ গায়। এবারের গানটিও দারুণ হয়েছে। পিউর রোমান্টিক একটি গান। দর্শক-শ্রোতাদের ভালো লাগবে।”
‘হাউ সুইট’ ওয়েব ফিল্মের মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অপূর্ব-ফারিণ। ‘মায়া মায়া লাগে’ গানে তারাই পারফর্ম করেছেন। ফিল্মটিতে আরো অভিনয় করেছেন— সাইদুর রহমান পাভেল, আবদুল্লাহ রানা, এরফান মৃধা শিবলু প্রমুখ।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র একসঙ গ কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।
ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।
আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগেঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।